ভূঁইয়া কামাল, মুলাদী (বরিশাল)।।
বরিশালের মুলাদী উপজেলা সদর নবিন সংঘ সংলগ্ন রেইন ট্রি গাছটি এখন মরণ ঘাতিতে পরিণত হয়েছে। এটি একটি চিরসবুজ বৃক্ষ। এটা শোভাবর্ধনকারী গাছ। ছাতার মতো ছড়ানো, বিশালবৃক্ষ। ফুলের সৌন্দর্য বিকীর্ণ পরাগ-কেশরে নিহিত, পরাগকেশরের অগ্রভাগ গোলাপী, নিচের অংশ সাদা ও ফুল মৃদু সুগন্ধযুক্ত।
চৈত্রের ভরদুপুরে রেইনট্রির শীতল ছায়ায় বসে বিশ্রাম নেয়ার সময় ওপরে তাকিয়ে অনেকেই একে বটবৃক্ষ বলে ভুল করেন। আসলে এটি রেইন ট্রি বা বৃষ্টি গাছ। বিশিষ্ট সমাজ সেবক রফিকুল ইসলাম বাচ্চু বলেন আশির দশকে এলাকার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আলহাজ্ব আঃ মন্নান খান মৃধা ও আলমগীর হোসেন হিরণ হাওলাদারের সহযোগিতায় পথিকদের বিশ্রামের কথা ভেবে রেইন ট্রি গাছটি লাগানো হয়। তখন থেকেই মুলাদী রেইন ট্রি তলা নামে পরিচিত। বাংলাদেশের সব জায়গাতে এ নামটি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এর আগে মুলাদী সরকারী মাহমুদজান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংলগ্ন স্থানকে রেইন ট্রি তলা বলা হত। ধীরে ধীরে গাছটি বড় হতে থাকে ও ডাল-পালাগুলো চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। গ্রীষ্মকালে লোকজন গাছের ছায়ায় বসে আরাম করত। গাছটি বহু বছর হওয়ার কারণে ডাল-পালাগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে ও মরে যাচ্ছে। হঠাৎ হঠাৎ মরা ডালগুলো সড়ক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উপর পড়ে থাকে।
এ গাছটির নীচ দিয়ে প্রতিদিন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী, অফিস-আদালতের কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ হাজার হাজার লোক যাতায়াত করে। চলাচল করে শতশত ছোট-বড় যানবাহণ। গাছটির ডাল-পালার মধ্যে দিয়ে নেয়া হয়ে হিজলা-মুলাদীর বিদ্যুৎ লাইন। চলাচলকারীরা ঝুকির মধ্যে দিয়েই চলাচলকরে। যে কোন সময়ই বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আঃ সালাম মির বলেন, কোন সময় গাছের মরা ডাল ভেঙ্গে পড়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি ক্ষতি হয়, ক্ষতি হয় জনসাধারণের বলা যায় না।
এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বনবিভাগ ও পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাগণসহ উপজেলার বড় বড় কর্মকর্তাগণ যাতায়াত করলেও তাদের দৃষ্টি গোচর হয় না।
এলাকার বিশিষ্টজনেরা বড় ধরনের দুর্ঘটনার আগেই জনস্বার্থে গাছের মরা ডালগুলো সড়িয়ে নিরাপদে গাড়ী, পথচারীদের চলাচল ও ব্যবসায়ীদের নিরাপদে থাকার ব্যবস্থা করার দাবি জানান সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি।