ভূঁইয়া কামাল, মুলাদী (বরিশাল)।।
বরিশালের মুলাদী সরকারী কলেজ চত্ত্বরটি শিক্ষার্থীদের মুখরিত করে রেখেছে বিভিন্ন ফুলের সুঘ্রাণে। চত্বরে লাগানো হয়েছে গোলাপফুল, ব্লিডিং হার্ড, অপরাজীতা, রঙ্গন, বেলিফুল, কুন্ডফুল, নয়নতারা, গাঁদা ফুল (চার ধরনের), পানসেটিয়া, কৃষ্ণচুড়া, জবা, বাধবীলতা, হাসনাহেনা, শিউলিফুল, জুঁইফুল, মিলিফুল, কাগজফুল ও ডালিয়া ইত্যাদি ফুল আর ফলের শতাধিক গাছ।
অপর দিকে লাগানো হয়েছে ল্যাংরা, বারি-৪, হাড়ি ভাঙ্গা, আ¤্রপলি, ফজলি, হিমসাগর ও লকনা গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির আম গাছ।
গাছগুলোর ডাল-পালায় বাসা বেঁধে আছে ছোট ছোট শালিক পাখি। সন্ধ্যার সময় বাসায় ফিরে কিচির মিচির শব্দে মুখরিত করে রাখে কলেজ ক্যাম্পাসটি।
মাঠটির চারিদিক ঘেরা থাকে আনন্দ মুখরিত পরিবেশে। কলেজ ক্যাম্পাসের উত্তর ও পশ্চিম পার্শ্বের সারিতে নানা ফুলের গাছ-গাছালির সারি সারি দৃশ্য দেখে চোখ হয়ে যায় শীতল আর ফুলের সুঘ্রাণে মন হয়ে উঠে প্রফুল্ল।
একবার প্রবেশ করলে পুষ্পের সমারোহ আর ঘ্রাণে ভরে ওঠে মন-প্রাণ। দৃষ্টিনন্দন বাগানটি দেখার জন্য প্রতিদিন শত শত মানুষ ভিড় করে। এ বাগানে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির অর্ধশতাধিক ফুলগাছ রয়েছে। বিচিত্র ফুলের সমারোহ ও মনমাতানো সুগন্ধ পুরো বাগানকে অনুপম সৌন্দর্য দান করেছে।
যতীন্দ্রমোহন বাগচীর ‘কাজলাদিদি’ কবিতায় বাগান আর ফুল নিয়ে লিখেছেনঃ
বাঁশ-বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই,
মাগো আমার শোলক্-বলা কাজলা দিদি কই?
পুকুর ধারে লেবুর তলে,
থোকায় থোকায় জোনাক জ্বলে,
ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না, একলা জেগে রই,
মাগো আমার কোলের কাছে কাজলা দিদি কই?
কলেজটির দক্ষিণ ও পূর্ব পার্শ্বে দুই সাড়িতে লাগানো হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছঠ। দেখলে মনে হয় সবুজ বনায়ন। প্রায় ৫ হাজার ছাত্র/ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মচারী ও দর্শনার্থীদের পদ চারণায় মুখরিত থাকে কলেজ প্রাঙ্গণটি। ফুল বাগান দেখতে এসে দর্শনার্থীরা স্মৃতি ধরে রাখার জন্য সেলফি তোলার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
কলেজের এইচএসসি বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থী মোঃ আহনাফ রহমান সামিদ, ছোয়া, তুয়া, দিবা, লাবনী ও মুশফিরাত বলেন, কলেজের শিক্ষকগণ লেখা পড়ার জন্য আমাদের প্রতি যেমনি লক্ষ্য রাখেন, তেমনি কলেজের পরিবেশকে সুন্দর রাখার জন্য বিভিন্ন প্রজাতির ফল ও ফুলের বাগান করে সুন্দর পরিবেশ তৈরী করেছেন।
কোন শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থী ফুল ছিড়তে না পারে সে জন্য কর্তৃপক্ষ দেয়াল দিয়ে ঘিরে রাখলেও দেখা যায় চুলের খোপায় খোপায়।
এমন সুন্দর পরিবেশের জন্য অভিভাবক ও দর্শনার্থীবৃন্দ অভিনন্দন জানিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ দেলোয়ার হোসেনসহ কর্তৃপক্ষকে।