বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪
Menu
Menu

‘মেসির ধারে কাছেও নেই রোনালদো’

Facebook
Twitter

স্পোর্টস ডেস্ক।।
লিওনেল মেসি বনাম ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর যুদ্ধ ফুটবলকে নিয়ে গিয়ে ভিন্ন পর্যায়ে। বছরের পর বছর দুজনই নিজের অবস্থান থেকে সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করছেন। যেখানে কিংবদন্তি ফুটবলাররাও তাদের সমর্থনে দুইভাগে ভাগ হয়ে গেছেন। অনেকেই আবার দুজনকে সমমানের বলে উল্লেখ করছেন। যদিও ইংল্যান্ডের ইতিহাসের সবচেয়ে গ্রহণ যোগ্য স্ট্রাইকার গ্যারি লিনেকার মনে করেন আর্জেন্টাইন মহাতারকাই সেরাদের সেরা ফুটবলার। বার্সেলোনা অধিনায়কের ধারেও কাছেও স্থান নেই জুভেন্টাসের হয়ে খেলা পর্তুগীজ মহারাজ।

ইংল্যান্ডের হয়ে ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত খেলেছেন। ক্যারিয়ারে লেইস্টার সিটি, এভারটন, বার্সেলোনা ও টটেনহ্যাম হটসপারের জার্সি গায়ে জড়িয়েছেন লিনেকার। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিকসহ ৬ গোল দিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন তিনিই। যদিও কোয়ার্টার ফাইনালে থামতে হয়েছিল তার দলকে। পরের আসরে তার হাত ধরেই সেমি ফাইনাল খেলেছিল থ্রি লায়ন্সরা।

সম্প্রতি বিবিসির সঙ্গে আলাপ করে তিনি বলেন, ‘আমি রোনালদোকেও অনেক পছন্দ করি। তবে আপনি যদি সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়ের কথা বলেন, তাহলে কোনও তর্ক ছাড়াই মেসি থাকবে সবার উপরে। এটা শুধু আমার মন্তব্য। আমি মনে করি, রোনালদো মেসির ধারে কাছেও নেই।’

ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে রোনালদিনহো, থিয়েরি অঁরি, স্যামুয়েল ইতোদের মতো তারকাদের পেয়েছেন। জুটি বেঁধেছেন কিংবদন্তি জাভি, আন্দ্রে ইনিয়েস্তাদের সঙ্গে। নেইমার-সুয়ারেজদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছেন। বার্সার ইতিহাসের সেরা পারফর্ম এসেছে মেসির হাত ধরেই। যদিও সম্প্রতি দলীয় পারফরম্যান্স আহামরি নয় কাতালানদের। তবে মেসি নিজের সেরা ফর্মেই রয়েছেন।

লিনেকার বলেন ‘দীর্ঘদিন মেসি তার সঙ্গে (বার্সেলোনার) সেরা দল পেয়েছে। তাদের সঙ্গে সংখ্যার দিক দিয়ে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। বর্তমানেও ঠিক এমনটাই করছেন তিনি।

মেসি সমালোচনাকারীদের বারবার বুড়ো আঙুল দেখাতে সক্ষম হয়েছেন উল্লেখ করে ইংলিশ ফুটবল বিশ্লেষক বলে, ‘এমনিতেই গেল দুই মৌসুমেও, যখন বার্সা দলটি আগের মতো শক্তিশালি ছিল না, তখনও তিনি স্বমহিমায় এগিয়ে গেছেন। সত্যি তাকে ছাড়া বড় সমস্যায় পড়তে হতো দলকে।’

লিনেকারের চাওয়া মেসি যেনো বার্সাতেই থেকে ক্যারিয়ার শেষ করেন।

বর্তমান ফুটবলে একদলের জন্য হয়ে খেলাটা এখন দুস্কর। যেমনটা মেসি বার্সার হয়ে খেলছেন। মাত্র ১৩ বছর বয়সে আর্জেন্টিনা থেকে স্পেনে চলে এসেছিলেন তিনি। যদি কোনও কারণে তিনি দল ত্যাগ করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে অকৃতজ্ঞতার মোড়ক লাগানো হবে। আমার মনে হয় না তিনি সুবিধাও করতে পারবেন।’

ব্লাউগ্রানা শিবিরকে বিদায় জানালে হিতে-বিপরীত হতে পারে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের জন্য মনে করেন লিনেকার।

‘আসলে তার দল পরিবর্তনের কোনও কারণ আমি দেখছি না। ইতিহাসের অন্যতম সেরা দলের হয়েই খেলছেন তিনি। বার্সা ছাড়লে সেরাদের কাতার থেকে ছিটকে পড়তে পারেন তিনি। যা ফিরে পাওয়া অসম্ভব হবে।’

জনপ্রিয়