শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ২০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০
অনলাইন ডেস্ক।।
মাদারীপুরের শিবচরে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে পড়ে ২০ জন নিহতের ঘটনায় জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। প্রতিবেদনে ওই দুর্ঘটনার পেছনে ৩টি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে।
বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুনের কাছে এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পল্লব কুমার হাজরা।
জানা গেছে, ইমাদ পরিবহনের বাসটির ফিটনেস না থাকা, চালকের ভারী যান চালানোর লাইসেন্স না থাকা, বাসের বেপরোয়া গতি ও বৃষ্টিতে মহাসড়ক পিচ্ছিল থাকাকে দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে।
পল্লব কুমার হাজরা জানান, এই দুর্ঘটনার পরের দিন থেকে তদন্ত কাজ শুরু করা হয়। গতকাল রাতে কাজ শেষ হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন, স্থানীয়দের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, বাসটির নিহত চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারের পরিবারের সদস্য ও বাসটির মালিকপক্ষের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তারা এই প্রতিবেদনটি তৈরি করেন। এছাড়া দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির রেজিট্রেশন সাময়িক স্থগিত রাখা ছিল। ফিটনেসের মেয়াদ উত্তীর্ণ থাকার পরও এক্সপ্রেসওয়েতে চালানো, চালকের ভারী যান চালানোর লাইসেন্স না থাকা ও বৃষ্টিবিঘ্নিত পিচ্ছিল রাস্তায় বাসটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
তিনি বলেন, হাইওয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি খুব দ্রুতগতিতে চলাচল করে। সড়কে দুর্ঘটনা বন্ধে দ্রুতগতি সম্পন্ন গাড়ির যাত্রীদের সিটবেল্ট পরিধান নিশ্চিত, গতিসীমা নিয়ন্ত্রণ করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নজরদারী, প্রতিটি গাড়িতে এবং মহাসড়কে জিপিএস ট্রাকার রাখা, সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও অনলাইনে মনিটরিং করার ব্যবস্থা রাখাসহ ১৪টি সুপারিশ করে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৯ মার্চ সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার ইমাদ পরিবহনের একটি বাস দুর্ঘটনায় পড়ে ২০ জন যাত্রী নিহত হন। এই ঘটনায় জেলা প্রশাসন চার সদদ্যের উপজেলার কুতুবপুরে খুলনা থেকে ঢাকাগামী একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দুই কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়।