আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
যৌন নিপীড়ন আইনে ধরা পড়ায় পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) এর একজন আন্ডার কভার এজেন্টকে তিরস্কার করে চাকুরী থেকে অপসারণের ঘটনা ঘটেছে। ওয়াকার আহমদ নামের ওই ব্যক্তি ইউক্রেইনের কায়ইবে অবস্থিত পাকিস্তানের দূতাবাসে বিএস-২ অফিসার হিসেবে কাজ করছেন।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, পাকিস্তান দূতাবাসের বিএস-১৮ কর্মকর্তা ওয়াকার আহমেদের একজন কর্মকর্তা ও ভদ্রলোক হিসেবে অযৌক্তিক আচরণ ও অসদাচরণ, সুশৃঙ্খলা ও পরিষেবা শৃঙ্খলা বিরোধী আচরণ, স্থানীয় পরিচ্ছন্ন কর্মী ও দূতদেরকে যৌন হয়রানি, কর্তৃত্বে অপব্যবহার এবং বৈরী পরিবেশ সৃষ্টির দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এমনকি ইউক্রেনে পাকিস্তানের ওই দূতাবাসে প্রথম সচিব হিসেবে কর্মরত অবস্থায় অবৈধভাবে স্থানীয় কর্মচারীদের কাজের অবসান ঘটানোর অভিযোগেও অভিযুক্ত করা হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জনাব ওয়াকার আহমদকে ওই সকল অভিযোগে অভিযুক্ত পাওয়ায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে পররাষ্ট্র সচিব তাত্ক্ষণিকভাবে সরকারি কর্মচারীদের (দক্ষতা শৃঙ্খলাবিধি) বিধি ১৯৭৩ এর বিধি ৪ (১) (খ) (iii) ধারায় চাকুরী থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয়।
ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।
এর আগে অপর একটি আইনে ২০১৫ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানি দূতাবাসে কর্মরত দেশটির এক কূটনৈতিককে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে, ভারতের আর্থিক ব্যবস্থা নষ্ট করতে এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলিকে তহবিল দিতে সীমান্ত পেরিয়ে জাল মুদ্রা পাচার করতেন তিনি।
২০০১ সালের এপ্রিল মাসে, নেপালে পাকিস্তানি দূতাবাসের প্রথম সচিব মোহাম্মদ আরশাদ চিমাকে এবং তার স্ত্রী রুবিনা চিমাকে বহিষ্কার করে নেপালি সরকার। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে, কাঠমান্ডুতে তাদের বাড়িতে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক বিশেষ করে আরডিএক্স পাওয়া গিয়েছিল। -এএনআই।