শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৪
Menu
Menu

লঞ্চ কম, স্বাস্থ্যবিধি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা

Facebook
Twitter

রূপালী ডেস্ক।।
দুইমাস ছয়দিন পর বরিশাল-ঢাকা নৌ রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। লঞ্চ কম থাকায় টার্মিনালে উপচে পড়া ভিড় যাত্রীদের। পাশাপাশি লঞ্চ মালিকদের সিন্ডিকেটে প্রথম দিনেই যাত্রীদের ভিড়ে উধাও স্বাস্থ্যবিধি। যে কারণে করোনার সংক্রমণের শঙ্কা প্রকাশ করেছে যাত্রীসহ সংশ্লিষ্টরা। তবে তা স্বীকার করতে নারাজ লঞ্চ মালিক কর্তৃপক্ষ।

বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল-ঢাকা রুটে বর্তমানে চলাচল করছে ৩০টি লঞ্চ। নিয়ম অনুসারে এর অর্ধেক লঞ্চ ঢাকা সদরঘাটে ও অর্ধেক লঞ্চ বরিশাল নৌ-বন্দর লঞ্চ ঘাটে থাকার কথা। কিন্তু রোটেশন পদ্ধতিতে মালিকরা দুই প্রান্তে মিলে কখনোই ৮/১০টির বেশি লঞ্চ চালান না। ফলে যাত্রীরা ন্যূনতম সেবা দূরে থাক, লঞ্চে পা ফেলার জায়গাও পান না।

বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সাবেক সভাপতি ও আইনজীবী এসএম ইকবাল বলেন, পাঁচ বছর আগেও এই রুটে ১০-১২টি লঞ্চ চলত। এখন চলে ২৮-৩০টি। মালিকদের যদি এতোই লোকসান, তাহলে লঞ্চের সংখ্যা বাড়ছে কেনো? এ ঘটনাই প্রমাণ করে, লোকসানের যেসব কথা বলা হচ্ছে, তা সঠিক নয়।

শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের সভাপতি মানবেন্দ্র বটব্যাল বলেন, লঞ্চ মালিকরা যাত্রীদের জিম্মি করে রোটেশন প্রথা চালু করেছে। আদালত এই রোটেশন প্রথাকে অবৈধ ঘোষণা করলেও তা মানছেন না লঞ্চ মালিকরা। প্রতিদিন উভয় প্রান্ত থেকে ১০টি করে ২০টি লঞ্চ চলাচল করলে সরকার যে স্বাস্থ্যবিধির কথা বলেছে তা বাস্তবায়ন সম্ভব হতো। মালিকরা মুনাফার কারণে আগের নিয়ম বহাল রাখায় ঝঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে এই রুট।

বরিশাল চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, ঢাকা-বরিশাল নৌ রুটে ৩০টি নয় ২৩টি লঞ্চ চলাচল করে। এর মধ্যে নিয়মিত চলাচল করে ১৮ থেকে ২০টি লঞ্চ।

সম্প্রতি বিআইডব্লিউটিএ’তে মিটিং হয়েছে। সেখানে ধারন ক্ষমতার মধ্যে লঞ্চ পরিচালনার কথা বলা হয়েছে। বাসে ৬০ ভাগ ভাড়া বৃদ্ধি করা হলেও পূর্বের ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করছি।’

তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, রোটেশন প্রথা নেই। কেউ কেউ লঞ্চ চালাচ্ছে না। করোনার কারণে কেউ চালাচ্ছে না, আবার অনেক স্টাফ না আসার কারণে লঞ্চ চালাতে পারছে না। যাত্রীদের সুরক্ষায় অনেক কার্যক্রম নেয়া হয়েছে। তবে সবার আগে যাত্রীদের সচেতন হতে হবে। তবেই করোনা সংক্রমণ এড়ানো যাবে।

বিআইডব্লিউটিএ বরিশালের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার জানান, মালিকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ পরিচালনার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে লঞ্চের সংখ্যা কম রয়েছে। অন্তত ৭টি করে লঞ্চ চলাচল করলে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করা যাবে। এ বিষয়ে তাদের বার বার বলা হচ্ছে।

বরিশালের ডিসি এসএম অজিয়র রহমান বলেন, সকালেও এই বিষয়ে লঞ্চ মালিকদের সঙ্গে মিটিং করেছি। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় কঠোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ এড়াতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের বিকল্প নেই। লঞ্চ মালিকরা বলেছেন তারা লঞ্চের সংখ্যা বাড়াবেন।

জনপ্রিয়