স্পোর্টস ডেস্ক।।
ন্যাপোলির বিপক্ষে কোপা ইতালিয়ান ফাইনালটা যখনই টাইব্রেকারে গড়াল, জুভেন্তাস কোচের কৌশল ছিল পঞ্চম শটটার জন্য ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে তুলে রাখা। কিন্তু পাওলো দিবালা ও দানিলোর ব্যর্থতায় টাইব্রেকারটা শেষ হলো চতুর্থ শটেই। ফলে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো টানা দুই শিরোপার ফাইনালে হারের বিস্বাদ নিতে হয় পর্তুগিজ স্ট্রাইকারকে। অপরদিকে পেনাল্টি শুটআউট ৪-২ ব্যবধানে জিতে মৌসুমের প্রথম শিরোপার উল্লাসে মাতে ন্যাপোলি।
করোনাসৃষ্ট বিরতি শেষে ফেরার পর এসি মিলানের বিপক্ষে সেমিফাইনালেও গোলমুখে নিষ্প্রভ ছিলেন রোনালদো, দিবালারা। সে দুর্বলতা এদিনও সওয়ার হয় তুরিনের দলটির কাঁধে। অন্যদিকে প্রতিপক্ষ আক্রমণের মুখে রীতিমতো ব্যতিব্যস্তই ছিলেন জুভেন্তাস গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি বুফন। দুয়েকবার গোলের খুব কাছাকাছি গিয়েও দুর্ভাগ্যবশতই গোল পায়নি ন্যাপোলি।
দীর্ঘ বিরতির কথা মাথায় রেখে অতিরিক্ত সময় বাদ দেওয়া হয়েছিল আগেই। ফলে গোলশূন্যতায় মূল সময় শেষ হতেই ১১ বছর পর কোপা ইতালিয়ান ফাইনাল গড়ায় পেনাল্টি শুটআউটে।
জুভেন্তাসের হয়ে প্রথম শট নিতে আসা দিবালাকে রুখে দেন ন্যাপোলি গোলরক্ষক অ্যালেক্স ম্যারেট। ন্যাপোলির প্রথম চেষ্টায় লরেঞ্জো ইনসিনিয়ে ঠিকই খুঁজে নেন জাল।
জুভেন্তাস পরের চেষ্টাতেও জালের দেখা পায়নি, দানিলো বল তুলে দেন আকাশে! পরের দুই শটে অ্যারন রামসে আর লিওনার্দো বনুচ্চি লক্ষ্যভেদ করলেও ন্যাপোলির পক্ষে আসা মাতেও পলিতানো, ম্যাক্সিমোভিচ আর অ্যালেক্সান্ডার মিলিক ভুল করেননি একটি শটেও। ফলে রোনালদোর কাছে সুযোগ যাওয়ার আগেই ৪-২ ব্যবধানে পিছিয়ে জুভেন্তাসের হার নিশ্চিত হয়।
রোনালদোর কাছে অবশ্য এমন অভিজ্ঞতা নতুন কিছু নয়। ২০১২ ইউরোর সেমিফাইনালেও স্পেনের বিপক্ষে শেষ শটের অপেক্ষায় থেকে ৫-৩ ব্যবধানে হারেন রোনালদো ও তার দল পর্তুগাল।
নতুন অভিজ্ঞতা অবশ্য একটা হয়েছে তার। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো টানা দুই ফাইনালে হারলেন রোনালদো। এর আগে গেল ডিসেম্বরে ইতালিয়ান সুপার কাপের ফাইনালে ল্যাজিওর কাছে হারে জুভেন্তাস।