অনলাইন ডেস্ক।।
করোনা পরিস্থিতিতেও সঠিকভাবে তথ্য পৌঁছানোর জন্য সাংবাদিকদের প্রশংসা করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক দুর্যোগ করোনা মহামারির মধ্যে সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। সবকিছু লকডাউন হলেও আমাদের গণমাধ্যম খোলা। আর সেই গণমাধ্যমের প্রায় ৬০ জন কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং আমি আমার প্রিয় বন্ধুপ্রতিম সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর খোকনকে হারিয়েছি।’
বুধবার (০৬ মে) দুপুরে ঢাকার সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ডিজইনফেকশন চেম্বার উদ্বোধনকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর খোকন স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এসময় প্রয়াত খোকনের আত্মার শান্তি ও করোনা-আক্রান্তদের দ্রুত সুস্থতা প্রার্থনা করেন মন্ত্রী।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমি সবসময় মন্ত্রী ছিলাম না বা থাকবো না, কিন্তু আমি সবসময় সাংবাদিকদের সঙ্গে ছিলাম। বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে আমি সব সাংবাদিকের করোনা পরীক্ষার বিশেষ ব্যবস্থার জন্য অনুরোধ করেছি, তারা সে ব্যবস্থা করেছে। বিশেষ বুথের জন্যও আমি তাদের তাগাদা দেবো। মন্ত্রী বলেন, দুস্থ সাংবাদিকদের জন্য আমরা সরকারের পক্ষ থেকে যথাসম্ভব কিছু করার চেষ্টা করছি। শিগগিরই কিছু করতে পারবো বলে আশা করি।
ড. হাছান আক্ষেপ করে বলেন, বিশ্বে রাষ্ট্রীয়ভাবে মেডিক্যাল গবেষণায় যে অর্থব্যয় হয়, তার চেয়ে অনেক বেশি ব্যয় হয় সামরিকখাতে। কিন্তু সমগ্র বিশ্ব আজ এক অদৃশ্য শত্রুর সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত, যেখানে শুধু মাস্ক, স্যানিটাইজার আর জীবাণুনাশক নিয়েই আমাদের কাজ করে যেতে হচ্ছে। আমার প্রশ্ন, এখনও কী আমরা অস্ত্রের প্রতিযোগিতায় থাকবো, নাকি সম্মিলিতভাবে মানবসমাজের জন্য কাজ করবো? তিনি বলেন, আর অস্ত্রের প্রতিযোগিতা নয়, সবাই মিলে মানুষের সুরক্ষার জন্য কাজ করাই হোক পৃথিবীর সব রাষ্ট্রের ব্রত।
তথ্যমন্ত্রীর অনুরোধে সাড়া দিয়ে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী অনুষ্ঠানে ডিআরইউ নেতৃবৃন্দের কাছে এন্টিসেপটিক সাবান ও হ্যান্ডস্যানিটাইজার হস্তান্তর করেন। এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সুজিত রায় বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশে যখন যেখানে প্রয়োজন, সেখানেই ত্রাণ ও স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
ডিআরইউ সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডিজইনফেকশন চেম্বার প্রদানকারী সংগঠন ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট অব বাংলাদেশের (এনআইবি) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও ডিআরইউ সহসভাপতি নজরুল কবীর।