সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।।
সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালসহ প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চতুর্থ শ্রেণী (আউট সোর্সিং) পদে কর্মরত আয়া, ওয়ার্ডবয় ও পরিছন্নতাকর্মীসহ বিভিন্ন পদে কর্মরত ২৩৪ জন কর্মচারীর ১২মাসের বেতনভাতা পরিশোধ না করেই নতুন করে আউট সোর্সিংয়ে লোকবল নিয়োগ ট্রেন্ডারের প্রতিবাদে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে অবস্থানকালে পুলিশের ধরপাকড় ও লাঠিপেঠায় ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ৪জন নারী ও ২জন পূরুষ কর্মীকে আটক করা হয়।
আজ রোববার (০৭ জুন) দুপুর ১২টায় জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে আউট সোর্সিং পদে কর্মরত ৭৬ জন নারী ও পূরুষ কর্মীরা অবস্থানকালে তারা তাদের সব বেতনভাতা পরিশোধ করার জন্য সিভিল সার্জন ডাঃ শামস উদ্দিনের নিকট দাবী জানান। এ সময় সিভিল সার্জন পুলিশকে ইনফর্ম করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং ৬জনকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন সদর হাপতালের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী গোপাল দাস, মোছাঃ সখিনা বেগমসহ প্রমুখ।
বেতনভাতা পরিশোধের দাবীতে অবস্থানকালে এ সময় বক্তব্য রাখেন, মোছা. সখিনা বেগম, সালমা বেগম, সতী রানী দাস, লক্ষী বেগম, জোৎনা বেগম, রাহেলা বেগম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী প্রায় ১২মাস পূর্বে চর্তুথ শ্রেণীর কর্মচারী পদে জেলা সদর হাসপাতালসহ প্রতিটি উপজেলায় আউট সোর্সিং পদে ২৩৪জনকে নিয়োগ দেয়া হয়। তারা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় বর্তমান প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস চলাকালে ও দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কিন্তু গত ১২মাস ধরে তাদের বেতনভাতা বন্ধ থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানববেতর জীবনযাপন করে আসছিলেন। তারা মূলত বেতনভাতা পরিশোধেরদাবীতে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান কর্মসূচী পালনকালে সিভিল সার্জনের নির্দেশে পুলিশকে ইনফর্ম করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠিপেঠা করেছে বলে তারা দাবী করেন। তারা সবার বেতনভাতা পরিশোধ করে নতুন করে আউট সোর্সিংয়ে লোকবল নিয়োগ ট্রেন্ডারের আপাতত স্থগিত রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নিকট দাবী জানান।
এ ব্যাপারে সদর সার্কেল (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) মোঃ জয়নাল আবেদীন জানান, হাসপাতালগুলোতে আউট সোর্সিং পদে সরকারীভাবে ট্রেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার লক্ষ্যেই এবং আন্দোলনকারীরা সরকারী প্রতিষ্ঠানে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করার সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার পর অবস্থানরত ৬জনকে আটক করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত বলেও তিনি জানান।
সিভিল সার্জন ডা. সামছু উদ্দিন জানান, এই মুহূর্তে আমার পক্ষে কিছু বলা সম্ভব হবে না।