স্পোর্টস ডেস্ক।।
এমন মৃত্যু কেউই আশা করেনি। মাত্র ৩৪ বছর বয়সেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন বলিউডের এই সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত। তার অকাল মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছে বলিউড পাড়া।
তবে সুশান্ত তো শুধু বলিপাড়ার মানুষ ছিলেন না। ভারতের দুইবারের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির বায়োপিক ‘এমএস ধোনি : দ্য আনটোল্ড স্টোরি’তে দুর্দান্ত অভিনয় করে খেলার জগতেও দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন তিনি।
রোববার (১৪ জুন) মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বাসা থেকে সুশান্তের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, মানসিক অবসাদের কারণেই আত্মহত্যা করেছেন তরুণ এই নায়ক। তার এভাবে চলে যাওয়ায় ভারতের ক্রিকেটাররাও শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছেন। শচিন টেন্ডুলকার থেকে শুরু করে বিরাট কোহলি পর্যন্ত সবাই শোক জানিয়েছেন।
তবে একজন একদম নীরব। সেই মানুষটি, যার বায়োপিক করে জনপ্রিয় হয়েছিলেন সুশান্ত। খোদ ধোনি বিভিন্ন সময় উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন সুশান্তের অভিনয়ের। বোঝাই যাচ্ছে, ভারতের সাবেক অধিনায়কের কতটা আপন হয়ে উঠেছিলেন এই অভিনেতা। এমন মৃত্যু কি করে মেনে নেবেন ধোনি?
ধোনি মানতে পারছেনও না। হয়তো শোক জানানোর মতো ভাষা নেই। ধোনির ম্যানেজার ও বন্ধু, যিনি বায়োপিকের সহকারি প্রযোজকও; সেই অরুন পান্ডে জানালেন-ধোনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। সুশান্তের এভাবে চলে যাওয়া মানতে পারছেন না সাবেক ক্যাপ্টেন কুল।
অরুন পান্ডে বলেন, ‘যা হলো, আমরা বিশ্বাস করতে পারছি না। শোক জানানোর মতো অবস্থায় নেই আমি। মাহিও (ধোনি) ভীষণ মুষড়ে পড়েছেন। কি মর্মান্তিক ঘটনা। সুশান্তের বয়স মাত্র ৩৪, সামনে তো তার উজ্জ্বল ক্যারিয়ার পড়ে ছিল। এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। সবার জীবনেই তো উত্থান পতন আছে।’
ধোনির চরিত্র করতে গিয়ে সুশান্তকে অনেক কিছু নিয়েই ভাবতে হয়েছে। শুধু অভিনয় আর পরিশ্রম করে ধোনির হেলিকপ্টার শট আয়ত্ত করা নয়, পর্দায় যদি চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে না পারেন, তবে সমর্থকদের রোষানলে পড়তে হবে-সিনেমা মুক্তির আগে এটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন সুশান্ত। কিন্তু দুর্দান্ত অভিনয় আর পরিশ্রম দিয়ে সব চ্যালেঞ্জ উৎড়ে যান তরুণ এই অভিনেতা।
ধোনির সিনেমায় অভিনয়ের জন্য প্রস্তুত হতে ভারতের সাবেক উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কিরন মোরের কাছে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন সুশান্ত। মোরেও তার মৃত্যুর খবরটি মেনে নিতে পারছেন না, ‘এটা খুবই বেদনাদায়ক। খুব দ্রুতই চলে গেল সে। আমি পুরোপুরি স্তম্ভিত। এটা থেকে বের হতে পারছি না। তার বয়স মাত্র ৩৪ ছিল। সে খুবই পরিশ্রমী, উদ্যমী ও প্রতিভাবান ছিল। আমি তার সঙ্গে নয় মাস কাজ করেছি। তাই আমি জানি এই চরিত্রটার জন্য সে কত পরিশ্রম করেছে।’