রূপালী ডেস্ক।।
স্বামীর প্রভাব দেখিয়ে টানা দেড়মাস কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ের (শেবাচিম) টেকনোলজিস্ট মাহমুদা খানমকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনার তথ্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানানোর কারণে মেডিকেল কলেজের অ্যানাটোমি বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাধনা চন্দ্র সরকারকেও শোকজ নোটিশ দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
উভয়কে সাতদিনের মধ্যে যথাযথ জবাব দেয়ার নির্দেশ দিয়ে মঙ্গলবার (০৫ মে) শোকজ নোটিশ দেয়া হয়।
এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এস.এম সারওয়ার।
টেকনোলজিস্ট মাহমুদা খানম মেডিকেল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগে কর্মরত। তিনি মেডিকেল কলেজের অর্থপেডিক্স বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ডা. মোর্শেদ আলমের স্ত্রী।
জানা যায়, স্বামীর প্রভাবের কারণে টেকনোলজিষ্ট মাহমুদা খানম কর্মস্থলে নিয়মিত অনুপস্থিত থাকেন। মাঝে মাঝে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে যান। সর্বশেষ তিনি ১৬ মার্চ হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেছিলেন। এরপরে করোনা দুর্যোগ দেখা দিলে ভয়ে তিনি কর্মস্থলে এসে আসেননি। ফলে ৪ মে পর্যন্ত তার হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর না থাকার বিষযটি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। ৫ মে মাহমুদা খানমকে কর্মস্থলে অনুপস্থিতি থাকার কারণ জানতে চেয়ে এবং অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে না জানানোর জন্য অ্যানাটমি বিভাগের প্রধান ডা. সাধনা চন্দ্র মজুমদারকে শোকজ নোটিশ দেয়া হয়।
অ্যানাটমি বিভাগের অফিস সহকারী সুশীল চন্দ্র জানান, শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে মাহমুদা খানম একটি ছুটির দরখাস্ত দিয়েছিলেন। কিন্তু সেটা অনুমোদন করেনি কর্তৃপক্ষ। তার আগেই তিনি কর্মস্থলে আসা বন্ধ করে দেন।
তবে মাহমুদা খানম দাবি করেছেন, করোনার কারণে বরিশাল জেলা লকডাউন হওয়ায় তিনি কর্মস্থলে আসতে পারেননি।