রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪
Menu
Menu

হার্লির সঙ্গে সেই দিনগুলো…ভাবতেই ভয় পান ওয়ার্ন

Facebook
Twitter

স্পোর্টস ডেস্ক।।

পুরোনো সেই দিনগুলোর কথা ভাবলে এখনও ভয় হয় শেন ওয়ার্নের। কোন দিনগুলোর কথা?

টেস্ট ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী বোলার, সর্বকালের সেরা লেগস্পিনার নিজেই বলেছেন ব্রিটিশ অভিনেত্রী ও মডেল লিজ হার্লির সঙ্গে যখন নতুন জীবন শুরু করলেন, তখনকার দিনগুলো।

তার তিন সন্তানের মা সিমোন ক্যালাহানের সঙ্গে ২০১০ সালে সংসার ভেঙে গেলে শেন ওয়ার্নের সঙ্গে লিজ হার্লির পরিচয় ও প্রেম হয়। বিষয়টা জানাজানি হতেই সংবাদমাধ্যমের যে উন্মাদনা দেখেছিলেন, সেটি আগে কখনও দেখেননি। অথচ সংবাদমাধ্যম তার কাছে অপরিচিত কিছু ছিল না। ক্রিকেটে তার দুর্দান্ত সব রেকর্ড, তারকাদ্যুতি আর সামান্য কিছু বিতর্ক ঘিরে পাদপ্রদীপের আলো তাকে খুঁজে ফিরতো সবসময়।

২০১০ সালেই দুজন তাদের মধ্যকার সম্পর্কটা স্বীকার করেন। এর একবছর পর হার্লি চলে আসেন মেলবোর্নে ওয়ার্নের বাড়িতে। ২০১১ সালেই হার্লিকে আংটি পরান ওয়ার্ন। কিন্তু দুবছর পর ২০১৩ সালে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে দুজন সম্পর্ক থেকে সরে দাঁড়ান। এর আগ পর্যন্ত সময়টা মিডিয়ার উন্মাদনা চূড়ান্তরকম বিশৃঙ্খল করে তুলেছিল তাদের জীবনকে। ফক্স ক্রিকেটের ‘ওয়ার্নির সঙ্গে সাতদিন’ অনুষ্ঠানের পঞ্চম পর্বে ওয়ার্ন বলেছেন, ‘এটা ছিল চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি। আমার মনে হয়েছে ক্রীড়াজগত আর শো-বিজ জগত একসঙ্গে মিলে যাওয়াতেই এটি ঘটেছে।’ ‘সে যখন অস্ট্রেলিয়াতে আসে, ৬ মাস বা এরকম সময় পরে তার সঙ্গে আমার দেখা। এ জন্যেই আমি আমার ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে তাকে আগে পরিচয় করিয়ে দিইনি। কারণ আমি ভেবেছিলাম, এটা যে মজা নয় আগে তা সত্যি বলে প্রতিষ্ঠিত হোক অথবা বিশ্বাস করা যাক সম্পর্কটির ভবিষ্যৎ আছে’-হার্লির সঙ্গে সম্পর্কটাকে নিজের কাছেই যেন অবাস্তব ঠেকেছিল ওয়ার্নের।

৭০৮টি টেস্ট উইকেটের মালিক বলে যান কীভাবে তাদের ক্যামেরাবন্দী করতে উটকো ফটোগ্রাফাররা পিছু নিতো এবং ভীত-সন্ত্রস্ত হতে হতো তাদের, ‘কিছু উটকো ফটোগ্রাফার সবসময়ই একটু আলাদা ধরনের ছবি তোলার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়তো। আমার মনে পড়ে আমার সবচেয়ে ছোট মেয়ে সামার একদিন গাড়ির পেছনের সিটে বসে ভয়ে চিৎকার করছিল, “ড্যাড, আস্তে চালাও। লাল আলো জ্বালানো অনেকগুলো গাড়ি লাফিয়ে সামনে এসে পড়েছে।’ ‘আমরা সেভাবে কোথাও যেতে পারতাম না, কারণ সবসময়ই আমাদের ঘিরে রাখতো ৩০-৪০ জনের একটা দঙ্গল- ফটোগ্রাফার এবং সাংবাদিক। সাতটা গাড়ি সবসময় আমাদের অনুসরণ করতো, মাথায় ওপরে একটা হেলিকপ্টার চক্কর দিতো লাল আলো ফেলে।’

ফক্স স্পোর্টসের এই শোতে ওয়ার্ন নিজেকে তুলে ধরছেন একেবারে অকুণ্ঠভাবে। তার পেশাদার এবং ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কোনও রাখঢাক নেই। এর আগের একটি পর্বে ৫০ বছর বয়সী সাবেক ক্রিকেট তারকা নিজের খেলার কিছু অন্ধকার দিক তুলে ধরেছেন এবং স্বীকার করেছেন নিজের কিছু কাজই ডুবিয়েছে তার পরিবারকে।

খ্যাতিমান ব্রিটিশ অভিনেতা হিউ গ্র্যান্টের প্রেমিকা ছিলেন ১৩ বছর। ২০০০ সালে সম্পর্কটি ভেঙে যাওয়ার পর ২০০২ সালে ভারতীয় বংশোদ্ভুত ধনকুবের অরুন নায়ারকে বিয়ে করেন হার্লি। ২০১১ সালে নায়ারের সঙ্গ বিচ্ছেদ হওয়ার আগেই ৩৯ বছর বয়সী ওয়ার্নের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে ৪৪ বছরের অভিনেত্রীর।

জনপ্রিয়