অনলাইন ডেস্ক।।
৫০ লাখ মানুষকে মাসে আড়াই হাজার করে নগদ সহায়তা প্রদানে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে সঠিক ও সাহসী পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন। প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে কর্মহীন হয়ে যাওয়া মানুষকে এই সহায়তা প্রদান তাদের যেমন আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনবে, তেমনি অর্থনীতিতেও চাহিদা সৃষ্টি করে তাকে সচল করতে সাহায্য করবে।
মেনন বলেন, পাশের দেশ ভারতসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও এই ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে। তবে এ অর্থ প্রদানের জন্য যে সময়ের মধ্যে কার্ড প্রণয়নে তালিকা প্রদানের জন্য বলা হয়েছে তাতে সিটি করপোরেশনভুক্ত ওয়ার্ডগুলোর সঠিকভাবে কার্ড প্রণয়ন ছিল এক দুঃসাধ্য কাজ। এক্ষেত্রে অতীত আমলের মতোই আমলাতান্ত্রিক হুকুমনামা প্রধানমন্ত্রীর সকল প্রচেষ্টাকেই ব্যর্থ করে দিতে পারত। সিটি করপোরেশন নির্ধারিত এক দেড়দিনের মধ্যে বিশাল প্রশ্নমালা পূরণ করে কম্পিউটারে আপলোড করা ছিল দুঃসাধ্য ব্যাপার। তাছাড়া কোনো কাউন্সিলর অফিসেই সেই জনবল ও সুবিধা নেই। তারপরও কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কাউন্সিলররা যে কাজটি করেছেন, এজন্য তাদের অভিনন্দন জানাই।
ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে ঢাকা-৮ নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে ১ হাজার কার্ডের তালিকা প্রণয়নের বিষয় পর্যালোচনা করতে গিয়ে সোমবার (১১ মে) এসব কথা বলেন রাশেদ খান মেনন। তিনি এ কাজে সহায়তা করার জন্য ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদকমণ্ডলীকে ধন্যবাদ জানান।
পর্যালোচনায় বলা হয়, কর্মহীন হয়ে যাওয়া হকার, নির্মাণশ্রমিক, গৃহকর্মী, হোটেল, রেস্তোরাঁ ও বেকারি শ্রমিকসহ শ্রমজীবী মানুষদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে তালিকা করে সমন্বয় করতে পারলে এই কাজ সুষ্ঠুভাবে সমাধান করা যেত এবং কেউ বাদ পড়ত না।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রণোদনা প্যাকেজের মতো সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী, বেসরকারি স্কুল-কলেজের জন্য ঈদের আগেই তহবিল ঘোষণা করার আহ্বান জানান বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি। পাশাপাশি তিনি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যেসব সংবাদকর্মী ও পুলিশ সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ও বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় মহানগর সভাপতি আবুল হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক কিশোর রায়, সদস্য তৌহিদুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম ফজলু ও আনোয়ারুল ইসলাম টিপু উপস্থিত ছিলেন।