শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র, ১৪৩০
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।।
কয়েকদিনের টানা অবিরাম বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের সকল নদী-নালার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে বন্যা হওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার কারণে নিম্ন আয়ের দিনমুজুর মানুষেরা ঘরবন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে বন্যার আশংকা করছেন নদী তীরের অনেকেই।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, সুরমা নদীর পানি বুধবার দুপুর ২টা পর্যন্ত সুনামগঞ্জ শহরের ষোলঘর পয়েন্টস্থ বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীর পানি বিপদ সীমার ৭৮ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় ১৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে শহরের বিভিন্ন রাস্তা ইতিমধ্যে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। জেলার বিশ^ম্ভরপুর,তাহিরপুর,দোয়ারাবাজার,শাল্লাসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জেলা শহরের সাথে বিশ^ম্ভরপুরও তাহিরপুর উপজেলার একমাত্র সড়কটিতে পানি উঠে যাওয়ার কারণে জেলা শহরের সাথে দুটি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। সুনামগঞ্জ শহরের নিম্ন এলাকার বাসাবাড়িতে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
দোয়ারাবাজারে সুরমা, বাংলাবাজার, বোগলাবাজার ও নরসিংপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম ইতিমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। চিলাই, মৌলা নদী ও খাসিয়ামারাসহ পাহাড়ী নদী গুলোর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বর্তমানে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের দক্ষিণ চৌধুরীপাড়া, পেকপাড়া, চিলাইপাড়, পুরান বাশতলা, বোগলাবাজার ইউনিয়নের আলম খালি, ইদুকোনা, ক্যাম্পের ঘাট, ভোলা খালিসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পওর শাখা -১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাবিবুর রহমান বলেন,‘ টানা বৃষ্টি হওয়া ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সুনামগঞ্জের সব নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত তিন দিন ধরেই নিয়মিত বৃষ্টি হচ্ছে। সুনামগঞ্জের পাশাপাশি ভারতের চেরাপুঞ্জিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ৭২ ঘণ্টা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। এতে সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।