শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ, ১৪৩১
রূপালী বার্তা।।
নিজের যত্ন নিতেই হবে। নতুন অভ্যাস তৈরি করা বেশ কঠিন কাজ। প্রতিদিন একই কাজ করতে করতে আমাদের অভ্যাস তৈরি হয়। হুট করেই নতুন অভ্যাস তৈরি করা কঠিন।
ফোর্বস সাময়িকীতে এমনই ৮টি অভ্যাসের কথা প্রকাশিত হয়েছে, যা টুকরা অভ্যাস হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব।
১. পরিকল্পনা করা শিখুন- আমরা পরিকল্পনা ছাড়াই কাজ করতে অভ্যস্ত। কাগজে-কলমে লিখে পরিকল্পনা করা শিখতে হবে। ক্যারিয়ার বা জীবন নিয়ে পরিকল্পনা করুন।
২. শরীরের যত্ন নিন- কাজের অজুহাতে আমরা শরীরের যত্ন নেই না। নিজের শরীরের যতœ নিতে শিখুন। ইতিবাচক অভ্যাস গড়ে তুলতে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করুন। হালকা যোগব্যায়াম প্রতিদিনের রুটিনের সাথে যুক্ত করুন। নিজের মানসিক অবস্থা, শারীরিক অবস্থা ও আবেগ নিয়ন্ত্রণের অভ্যাস গড়ে তুলুন।
৩. অন্যদের কথা শুনুন- আমরা সাধারণত নিজেকে প্রকাশ করতেই বেশি আগ্রহ প্রকাশ করি। অন্যের আবেগ কিংবা কথা আমরা গুরুত্ব দিই না। প্রতিদিন অন্যদের কথা শোনার অভ্যাস করুন। অন্যরা কী বলছে আর কী বলছে না, তা গুরুত্ব দিয়ে শুনুন। কথা শুনে চিন্তা করুন।
৪. নতুন ধারণা গ্রহণে উৎসাহী হোন- আমরা প্রতিদিনের জীবনে নতুন কিছু গ্রহণ করতে চাই না। প্রতিদিন নতুন নতুন ধারণা গ্রহণ ও জীবনে প্রয়োগ করতে শিখুন।
কোন নতুন ধারণায় আপনার জীবন পরিবর্তন হবে, তা আপনি জানেন না, তাই নিত্যনতুন ধারণা গ্রহণ করতে শিখুন।
৫. নিজেকে সমালোচনা করতে শিখুন- আমরা নিজের ভুলক্রুটি সহ্য করতে পারি না। ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে নিজের ভুলগুলো স্বীকার করুন। ভুল থেকে নতুন কিছু জানার চেষ্টা করুন। নিজের সমালোচনা অন্যদের কাছ থেকে গ্রহণ করুন। যারা সমালোচনা করে তাদের শত্র“ ভাবার বদলে তাদের মতামতকে সম্মান জানিয়ে নিজেকে ইতিবাচকভাবে পরিবর্তন আনুন।
৬. পরামর্শ নিন- ব্যক্তিজীবনে অভিজ্ঞদের কাছ থেকে পরামর্শ নিন। কয়েকজন ব্যক্তিকে নিজের আদর্শ মেনে তাদের পরামর্শ নিন কিংবা তাদের মতো করে ইতিবাচকভাবে জীবন গড়তে শিখুন।
৭. কথা দিয়ে কথা রাখুন- আমরা অনেক সময়ই কথা দিয়ে কথা রাখি না। ব্যক্তিজীবনে উন্নয়নের জন্য কথা দিয়ে কথা রাখা গুরুত্বপূর্ণ। যা বলবেন তা অবশ্যই করার চেষ্টা করুন।
কথা দিয়ে কথা রাখতে না পারলে দুঃখ প্রকাশ করুন, প্রয়োজনে সময় বাড়িয়ে নিয়ে কাজ শেষ করুন। কম কাজ নিয়ে বেশি কাজ করার অভ্যাস করুন। প্রত্যাশা দিয়ে হতাশ করবেন না অন্যদের।
৮. নিজেকে অন্যের সঙ্গে তুলনা করবেন না- স্কুলে পড়ার সময় আমরা নিজেরা অন্যদের সঙ্গে তুলনা করি নানা বিষয়ে। কখনও নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করবেন না। অন্যের সাফল্যে দুঃখ কিংবা হতাশাবোধ করবেন না। অন্যের যা আছে, তা নিয়ে কখনও মন খারাপ করবেন না।
ডা: কে.এম. জাহিদুল ইসলাম
এমবিবিএস(ঢাকা), বিসিএস (স্বাস্থ্য)
এমএস (অর্থোপেডিক সার্জারী) অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি হাসপাতাল) ঢাকা।