শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধংস করছে আওয়ামী লীগ সরকার। নীরব দুর্ভিক্ষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ, তাই দেশের মানুষ এ সরকারের পতন চায়।
শনিবার (৪ মে) দুপুরে রাজধানীস্থ রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি এনপিপির উদ্যোগে জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকীর আলোচনা সভায় দেয়া বক্তব্যে এসব মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে শুরু করে আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের ইতিহাস বিকৃত করছে আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই এটা এখন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। বিচারহীনতার সংস্কৃতি, অন্যায় অবিচারের মাধ্যমে গায়ের জোরে ক্ষমতা দখল করে আছে। মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা নাই, লুটপাটের রাজ্য হয়ে গেছে। দেশ একটা নিরব দুর্ভিক্ষের দিকে যাচ্ছে। মূল্যস্ফিতি আর টাকার মান কমে যাওয়ার কুফলে দ্রব্যমূল্যের দাম আকাশ ছুঁয়েছে।
ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ চায় এই সরকারের পতন। দেশের মানুষ গণতান্ত্রিক সরকার চায়। এ সরকারের পতন হলেই মানুষের অধিকার নিশ্চিত হবে।
বক্তব্যে খন্দকার মোশারফ আরও বলেন, নিখুঁতভাবে যুদ্ধ করতে হবে এই লুটপাট লীগকে পরাজয় করতে। সেজন্য দরকার সাহস, মনোবল এবং শক্তি। আওয়ামী লীগের নিচের লেভেলের উচ্ছসিত নেতারা জানেই না যে পাকিস্তানের মতো তাদের নেত্রীও আত্মসমর্পণ করবে। তাই তারা মাঠে আস্ফালন দেখায়। আমরা ১৩ বছর অপেক্ষায় ছিলাম আর কয়েকটা মাস বেশি লম্বা না এখন আর বিন্দু পরিমাণ ছাড়ও দেয়া হবে না।
ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেন, ১৯৭১ এর ২৫ মার্চে জাতির জন্য কোনো দিক নির্দেশনা ছিল না। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে জাতিকে পথ দেখিয়েছেন। তেমনি ৭৫ এর ১৫ আগস্টের পরেও জাতি দিকভ্রান্ত ছিল। সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান আবারও জাতিকে পথ দেখানোর দায়িত্ব নেন।
ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেন, ১৯৭১ এর ২৫ মার্চে জাতির জন্য কোনো দিক নির্দেশনা ছিল না। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে জাতিকে পথ দেখিয়েছেন। তেমনি ৭৫ এর ১৫ আগস্টের পরেও জাতি দিকভ্রান্ত ছিল। সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান আবারও জাতিকে পথ দেখানোর দায়িত্ব নেন।
এ সময় খন্দকার মোশারফ আরও বলেন, নিখুঁতভাবে যুদ্ধ করতে হবে এই লুটপাট লীগকে পরাজয় করতে। সেজন্য দরকার সাহস, মনোবল এবং শক্তি। আওয়ামী লীগের নিচের লেভেলের উচ্ছসিত নেতারা জানেই না যে পাকিস্তানের মতো তাদের নেত্রীও আত্মসমর্পণ করবে। তাই তারা মাঠে আস্ফালন দেখায়। আমরা ১৩ বছর অপেক্ষায় ছিলাম আর কয়েকটা মাস বেশি লম্বা না এখন আর বিন্দু পরিমাণ ছাড়ও দেয়া হবে না।
ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন আরও বলেন, জিনিসপত্রের দাম কমাতে পারবে না, মানুষের হাহাকার বেড়ে যাবে- তখন আমাদের গুলি করে আর দমাতে পারবে না। আমরা জনগণের হাহাকার নিয়ে রাস্তায় নামবো এ সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে কোনো গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে না, তাহলে হাসিনা আর নির্বাচন করতে পারবে না। যদি না পারে তাহলে বিনা যুদ্ধে আমরা এ সরকারকে হটাতে পারবো। হাসিনা হেলিকপ্টারে চড়ে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হবে। সেজন্যে পেশি শক্তির পরিবর্তে মনের শক্তি বাড়াতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।