শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ, ১৪৩১
সঞ্জয় ব্যানার্জী, দশমিনা (পটুয়াখালী) ।।
আবুল হোসেন। বয়স ৪০ বছর। বাড়ি পটুয়াখালীর দশমিনা সদর ইউনিয়নের দশমনিা গ্রামের এলাকায়। আবুলের আপন বলতে মৃত্যু ভাইয়ের স্ত্রী ও সন্তান। পৈত্রিক জমিতে মাথা গোঁজার ঠাই আছে আবুল হোসেনের। কেউ কিছু বললে একগাল হাসি দিয়ে অস্পষ্ট আবদার। ৫ টাকায় খুশি ১০ টাকায় মহাখুশি।
আবুল জন্মগতভাবেই শারীরিক প্রতিবন্ধী। কথার ভাষা অষ্পষ্ট অজানা। খাবারের জন্য পরিচিতদের কাছে বিনয়ের সাথে টাকা দাবি করেন। কেউ কেউ আগ্রহ করে টাকা দেয় আবার না দিলে দুঃখে ফ্যাল ফ্যাল করে কেঁদে ফেলেন।
হতদরিদ্র আঃ সালাম ও মোসাঃ বেগমের দ্বিতীয় সন্তান আবুল হোসেন। বাবা পরলোক গমনের ২ বছরের মধ্যে মা গত হয়েছে শিশু বয়সে। খেয়ালী বিধির যতেœই বেড়ে উঠেছে আবুল। নিজের ভার নিজেকেই বইতে হয় আবুল হোসনকে। প্রকতির স্বাভাবিক নিয়মে আপনজন হারিয়ে যেতে থাকে আবুলের। আপন ভাই হারানোর পরে আবুলের ঠাঁই ভাইয়ের স্ত্রী হাবেজার সংসারে। আবুলের আপন বলতে হাবেজা ও তার দু’সন্তান মিলে তিন জন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যা ভোকেট. ইকবাল মাহমুদ লিটন বলেন, আবুলকে দেখলে কান্না পায়। মাঝে মাঝে ব্যক্তিগত ও ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে টাকা ও চাল দিয়ে খাবার ব্যবস্থা করি।
এবিষয়ে দশমিনা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আবুল হোসেন প্রতিবন্ধী ভাতা প্রতিমাসে ৭’শ টাকা পেয়ে আসছেন সরকারিভাবে।