শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ, ১৪৩১
রূপালী বার্তা।।
কিছু জীবাণু, যেমন- ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস অথবা ছত্রাক দিয়ে অনির্দিষ্ট মূত্রনালির প্রদাহ হতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সংক্রমণের জন্য দায়ী জীবাণুটিকে খুঁজে পাওয়া যায় না। অরক্ষিত যৌন সঙ্গমের মাধ্যমে আপনি এ সংক্রমণে সংক্রমিত হতে পারেন। আপনার যৌনসঙ্গীর গোসলের সাবান, শুক্র নাশক পদার্থ ইত্যাদি দিয়েও আপনার মূত্রনালির প্রদাহ হতে পারে। এসব দ্রব্য আপনার মূত্রনালিতে ঢুকে জ্বালাপোড়া করতে পারে এবং মূত্রনালি ফুলে যেতে পারে। কোন বস্তু দিয়ে আঘাত পেলে বা দূর্ঘটনাজনিত কারণে মূত্রনালির প্রদাহ ঘটাতে পারে।
রোগের উপসর্গ: অনির্দিষ্ট মূত্রনালির প্রদাহে অনেক সময় আপনার কোনো উপসর্গ নাও থাকতে পারে। উপসর্গের মধ্যে যেগুলো থাকে সাধারণের চেয়ে ঘন ঘন প্রস্রাবের অনুভূতি হওয়া, জ্বর, পেটব্যথা, প্রস্রাব করার সময় ব্যথা অথবা জ্বালাপোড়া, লিঙ্গে ব্যথা অথবা চুলকানি, যৌন সঙ্গমের সময় ব্যথা করা, লিঙ্গ দিয়ে পাতলা ও সামান্য ঘোলা অথবা ঘন হলুদ সবুজ রস বের হওয়া।
রোগ নির্ণয়: আপনার যৌন ইতিহাস জানার পর সংক্রমণ ক্লামাইডিয়াজনিত কি না, তা পরীক্ষা করার প্রয়োজন হতে পারে। আপনার শরীর কেমন রয়েছে, তা জানার জন্য আপনার রক্ত পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে।
মূত্রনালির রস পরীক্ষা: একে ইউরেথ্রাল ফ্লুইড টেস্ট বলে। এখানে মূত্রনালির মধ্যে একটা কটন সোয়াব দিয়ে রস সংগ্রহ করা হয়। এর পর এই রস মাইক্রোস্কোপের নিচে রেখে দেখা হয়, কোনো রক্তের শ্বেতকণিকা অথবা জীবাণু রয়েছে কি না। জীবাণু থাকলে বলা সম্ভব হয় যে ইহা কোন ধরনের জীবাণু।
প্রতিরোধ ও চিকিৎসা: মূত্রনালির প্রদাহ প্রতিরোধ করার জন্য অবশ্যই আপনার এবং আপনার যৌনসঙ্গির দুজনেরই চিকিৎসা করতে হবে। যদি আঘাতজনিত কারণে মূত্রনালির প্রদাহ হয়, তাহলে দৈনিক কমপক্ষে দুবার ১৫ মিনিট করে হট বাথ নেবেন। চিকিৎসা নির্ভর করছে কি জীবানু দ্বারা সংক্রমিত হয়েছে।
ডা: কে.এম. জাহিদুল ইসলাম
এমবিবিএস(ঢাকা), বিসিএস (স্বাস্থ্য)
এমএস (অর্থোপেডিক সার্জারী) অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি হাসপাতাল) ঢাকা।