শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ, ১৪৩১
রূপালী স্বাস্থ্য।।
প্রত্যেক সংসারে টুকটাক ঝগড়া হয়ে থাকে। তাই আমাদের মনে রাখতে হবে যত সমস্যা হয়ে থাকুক, সন্তানের সামনে ঝগড়া করা যাবে না। সন্তানের সামনে নিত্যদিন কথা কাটাকাটি, চিৎকার-চেঁচামেচি চলতে থাকলে সন্তানের মনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। অনেক সময় তাদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশেও তা বড়সড় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়।
আসুন জেনে নেই স্বামী-স্ত্রীর বৈরিতায় যেসব ক্ষতি হচ্ছে সন্তানের…
মানসিক ও শারীরিক বিকাশে বাঁধা: মা-বাবার মধ্যে কলহ ও তাদের বিচ্ছেদের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয় সন্তানরা। মানসিক ও শারীরিক বিকাশ বাঁধাপ্রাপ্ত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, এদের মধ্যে ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, হাঁপানিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। শুধু তাই নয়, সমাজবিরোধী ও নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের দিকেও ঝুঁকে পড়তে পারে।
নিরাপত্তাহীনতা: বাবা-মায়ের ঝগড়াতে সন্তানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তারা বিরক্ত হয়। নিজেকে উপেক্ষিত মনে করে। এর ফলে সন্তানের মনে নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়।
কার কাছে যাবে: ঝগড়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়, যখন সন্তানরা সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে। মা-বাবা দু’জনই সন্তানের আশ্রয়। কিন্তু তখন সন্তান আশ্রয়হীনতা অনুভব করে। ওই সময় তীব্র মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়। তারা বুঝে উঠতে পারে না, দোষ কার। কার কাছে যাবে, এ নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে।
ভবিষ্যৎ: সন্তানরা প্রাথমিক আদব কায়দা শেখে তাদের পরিবার থেকে। আর যখন পরিবারটি ভেঙ্গে যায়, তখন তাদের ভবিষ্যৎ হয়ে দাঁড়ায় অনিশ্চিত। মা-বাবার দ্বন্দ্বের কারণে সন্তানরা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে ভয় পায়।
ডা: কে.এম. জাহিদুল ইসলাম
এমবিবিএস(ঢাকা), বিসিএস (স্বাস্থ্য)
এমএস (অর্থোপেডিক সার্জারী) অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি হাসপাতাল) ঢাকা।