শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
রংপুরের হারাগাছে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের মামলায় পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রায়হানুল ইসলাম ওরফে রাজুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রায়হানুলকে মহানগর পুলিশের হেফাজত থেকে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নিয়ে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এর আগে রংপুর অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে নির্যাতনের শিকার কিশোরী আসামিকে শনাক্ত এবং এই মামলার অন্য দুই আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন বলেন, নির্যাতনের শিকার কিশোরী নিজেই আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় আসামিকে শনাক্ত করেছে এবং গ্রেপ্তার অন্য দুই আসামি আজাদ ও বাবুল হোসেন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আসামি রায়হানুলের এ ঘটনায় সম্পৃক্ততার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ায় আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি।
তিনি বলেন, ওই কিশোরীর জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে আমরা গুরুত্বপূর্ণ কিছু আলমত জব্দ করেছি। যারা গ্রেপ্তার হয়েছে তাদের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। এরপরেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
মঙ্গলবার ভোরে লালমনিরহাট সদর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বাবুল হোসেন (৪০) ও আবুল কালাম আজাদকে (৪২)। বুধবার দুপুরে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তারা।
পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন বলেন, বুধবার ওই কিশোরীকে আদালতে নিয়ে আসা হয়েছিল। সে বিচারকের সামনে জবানবন্দি দিয়েছে। আরও দুইজন আসামিও আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। তারা সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তারা বলেছে-এএসআইয়ের নেতৃত্বে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
ওই ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন মহানগর ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল ইসলাম। পরিচয়ের সময় রায়হান তার ডাক নাম রাজু বলে জানান। সম্পর্কের সূত্র ধরে ২৫ অক্টোবর হারাগাছ থানার ক্যাদারের পুল এলাকায় একটি বাড়িতে নবম শ্রেণির ছাত্রী এই কিশোরীকে ধর্ষণ করে রায়হানুল। এরপর রায়হানের আরও কয়েকজন পরিচিত যুবক ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। সন্ধ্যায় সেখান থেকে বের হয়ে ওই ছাত্রী টহল পুলিশকে বিষয়টি জানান।