শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ, ১৪৩১
কুয়াকাটা প্রতিনিধি।।
বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই বঙ্গোপসাগরে ঢেউয়ের ঝাপটা বৃদ্ধি পেয়েছে। জোয়ারের সময় সমুদ্রের বড় বড় ঢেউ আচরে পরছে তীরে। তুফনের আঘাতে উপকূলের বালু ক্ষয়ে সরে যাচ্ছে সমুদ্রে। আর এতে হুমকির মুখে পরেছে কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্ট লাগোয়া ‘সাগর সৈকত জামে মসজিদ’ ও ‘শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দির’।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, গত বর্ষা মৌসুমে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দু’টি রক্ষা করতে পাউবো কর্তৃক বালু ভর্তি জিও ব্যাগ দেয়া হয়েছিলো। যার কারণে গত বছর রক্ষা পেয়েছে। কিন্তু এবার সমুদ্রের ঢেউ জিও ব্যাগের উপর আচরে পরার কারণে নিচের বালু সরে গেছে। আগামী জোঁতে জোয়ারের পানি আরও বৃদ্ধি পেলে ‘সাগর সৈকত জামে মসজিদ’ ও ‘শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দির’ হুমকির মুখে পরবে। এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দু’টি পাশাপাশি থাকার সা¤প্রদায়ীক স¤প্রতির নিদর্শন ছিলো সাগরকন্যা কুয়াকাটায়। দ্রæত এ বিষয় পদক্ষেপ না নিলে কুয়াকাটার সা¤প্রদায়ীক স¤প্রতি যে আলো এতদিন জ্বলছিলো তা নিবে যাবার আশংকা দেখা দিয়েছে।
কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্টের পূর্বদিকে একই রাস্তায় মুসলমানদের দোতলা জামে মসজিদ ও মাদ্রাসা এবং হিন্দু ধর্মালম্বীদের বিশাল বাউন্ডারীর মধ্যে ৩টি ভবনে ৪টি মন্দির রয়েছে। আগত ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকরা আনন্দ বিনোদনে পাশাপাশি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে খুব সহজে যে যার ধর্মীয় কাজ পালন করতে পারে। স্থানীয়রা সৈকতের পাশে এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দু’টি নির্মাণ করেন।
মসজিদের সাবেক খতিব ক্বারী নজরুল ইসলাম বলেন, ২০০৮ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ওই মসজিদে আমি ইমামতি করেছি। অনেক স্মৃতি বিজড়িত আছে। তখন সাগর ছিলো অনেক দুরে এখন একেবারেই নিকটে এসেছে। এখনই রক্ষার জন্য উদ্যোগ না নিয়ে সমুদ্র গর্ভে বিলিন হয়ে যাবে মসজিদটি।
মসজিদ পাশে থাকা শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নিহার রঞ্জন মন্ডল বলেন, সামনের জোঁতে মন্দিরের বাউন্ডারী ওয়াল ভেঙ্গে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। প্রতি বছর এই সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় অস্থায়ীভাবে জিও ব্যাগ দিয়ে রক্ষা করার চেষ্টা চলে। কিন্তু মন্দির রক্ষার জন্য স্থায়ীভাবে কোন প্রকল্প নেয়া হচ্ছে না। এখনই ব্যবস্থা না নিলে মন্দিরটি রক্ষা করা যাবে না।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ হোসেন বলেন, মসজিদ ও মন্দির রক্ষার জন্য জরুরী ভিত্তিতে কাজ করার চেষ্টা চলছে।