বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ, ১৪৩১
মুলাদী প্রতিনিধি।।
মুলাদীতে তৃতীয় স্ত্রীকে নির্যাতনের ঘটনার মামলায় বিয়ে লোভী প্রতারক শিক্ষক গ্রেফতার হওয়ায় ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা স্বস্তি ফিরে পেয়েছে।
মামলা ও ভুক্তভোগী সুত্রে জানাগেছে, মুলাদী উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের সেলিমপুর গ্রামের আঃ কাদের হাওলাদার পুত্র শরিয়তপুর জেলার ঘোষাইরহাট উপজেলা শামসুর রহমান ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক মোঃ মামুন পরপর দুটি বিয়ের তথ্য গোপন করে ২০১৮সালের ৮সেপ্টম্বর নাজিরপুর ইউনিয়নের বার্নিমদন গ্রামের মোঃ দেলোয়ার হোসেনের কন্যা মোসাঃ তামান্নাকে ইসলামি শারিয়াহ মোতাবেক বিয়ে করে। নারী লোভী শিক্ষক মামুন বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবীতে বিভিন্ন সময় তামন্নাকে মারধর ও চাপ প্রয়োগ করতো। মামুন সম্পুর্ন প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে আগে আরও দুইটি বিয়ে করেছিলেন এবং যৌতুকের কারনে সেই দুই স্ত্রীও তার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল।
এসব তথ্য গোপন করে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে তামান্নাকে বিয়ে করেন। তামান্না বিভিন্ন সময় বাবার বাড়ী থেকে স্বর্নালঙ্কার, নগদ অর্থ, আসবাপপত্র এনে দিলেও প্রতারক মামুন স্ত্রীর মর্যাদা না দিয়ে তার কাছ থেকে পালিয়ে বেড়াতো। প্রতারক শিক্ষক মামুনের নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে তৃতীয় স্ত্রী তামান্না বরিশাল বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সি,আর মামলা ১৭২/২০২১ দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর গত ৬ডিসেম্বর আদালতে হাজিরা দিতে গেলে মুলাদী আমলী আদালতের মেজিষ্ট্রেট মাহফুজুর রহমান মৌদুদ দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে মামুনের জামিন বাতিল করে, তাকে জেল-হাজতে প্রেরনরে নির্দেশ দেন।
জানাগেছে, নারী লোভী এ শিক্ষক মামুনের বিরুদ্ধে তার প্রথম স্ত্রী ফাতেমা আক্তার ২০১২ সালে বরিশাল চিফজুডিশিয়াল আদালতে এবং ২০১৮ দ্বিতীয় স্ত্রী তহমিনা আক্তার বরিশাল মেট্রোপলিটন আদালতে একই অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। প্রতারক শিক্ষক মামুন গ্রেফতার হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করে তার যথাযত বিচার দাবী করেছেন ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা।