সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ, ১৪৩১
ভূঁইয়া কামাল, মুলাদী।।
বরিশালের মুলাদী সফিপুর ইউনিয়নের জয়ন্তী নদীতে বন্যার ও জোয়ারের পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় নদীর গর্ভে চলে যাচ্ছে সফিপুর ইউনিয়নের ব্রজোমহন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সফিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
১৯৪২ সালে সফিপুর ইউনিয়নের ২১নং ব্রজমোহন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। আজ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। বিদ্যাপীঠটি যে কোনো সময় হারিয়ে যাবে নদী গর্ভে। ইতিমধ্যে নদী ভাঙ্গনে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে সাবেক যুগ্ম সচিব এবং বঙ্গবন্ধুর দাফনকারী মরহুম আঃ কাদের-এর কবরটি। ২০১৯ সালে মাননীয় পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল জাহিদ ফারুক ও সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুটি রক্ষার জন্য ৫০ মিটার বেড়িবাঁধ ও বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু নদীর ব্যাপক ভাঙ্গনে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যায়। বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে বিলীন হতে মাত্র কয়েক গজ বাকী। যে বিদ্যালয় দুটিতে কোমলমতি ছাত্র ছাত্রীদের পদচারণায় প্রতিদিন মুখরিত থাকতো আজ সে বিদ্যালয়টি চলে যাবে নদীগর্ভে। তাই হতাশায় ভুগছে ছাত্র ছাত্রীসহ অভিভাবকবৃন্দ।
সফিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মুসা হিমু মুন্সী বলেন, মুলাদী উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে জনববহুল এলাকা হলো সফিপুর ইউনিয়ন। এ এলাকা দিয়ে বয়ে গেছে জয়ন্তী নদী। এ নদী ভাঙ্গনে অসহায়ভাবে জীবন যাপন করছে কয়েক হাজার পরিবার। কয়েক হাজার মেধাবীর স্বপ্নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করার জন্য জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।