শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ, ১৪৩১
আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
৩৮ বছর আগে লেবানন থেকে অপহরণ করা হয় ইরানের চার জন কূটনীতিককে। ওই চার কূটনৈতিক ব্যক্তি আজও ইসরাইলের কারাগারে আটক রয়েছেন বলে দাবি জানিয়ে ইরান। ইরানি এ চার কূটনীতিবিদের মুক্তির জন্য বৈশ্বিক সহায়তা চেয়েছে দেশটি।
প্রায় চার দশক আগে অপহরণ করে ইসরাইলের কারাগারে আটকে রাখার বিষয়ে স্বচ্ছ তদন্ত চালাতে এবং সক্রিয় ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘসহ বিশ্ব সমাজের কাছে আহ্বান জানিয়েছে ইরান। সেই সঙ্গে ইরান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ওই চার কূটনীতিকের দায় ইসরায়েলকেই নিতে হবে। ওই কূটনীতিকদের অপহরণের ৩৮ বছর পর এমন হুঁশিয়ারি দিল ইরান।
ইনরায়েলের কারাগারে বন্দি কূটনীতিবিদরা হলেন আহমাদ মোতেওয়াসসেলিয়ান, সাইয়্যেদ মোহসেন মুসাভি, তাকি রাস্তেগার মোকাদ্দাম এবং কাজেম আখাওয়ান। লেবাননের উত্তরাঞ্চলে বারবারা চেকপয়েন্ট থেকে ১৯৮২ সালের ৫ জুলাই এ চার কূটনীতিবিদকে অপহরণ করা হয়েছিল।
ইরনা জানায়, ইসরাইলের একটি বিশেষ বাহিনী অপহরণ করে তাদের। সামির জা’জা ও ইলি হাবিকা ছিল ওই তাবেদার খ্রিস্টান ফ্যালাঞ্জিস্ট বাহিনীর সে সময়কার প্রধান। ইরান বলে আসছে নানা সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে এটা সন্দেহাতীত যে অপহরণের পর কূটনীতিবিদদের ইহুদিবাদী ইসরাইলের কাছে তুলে দেয়া হয় এবং বর্তমানে তারা ইসরাইলি কারাগারে আটক রয়েছেন।
তবে ইলি হাবিকা বলেছে, সামির জাজা ১৯৯৭ সালে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিল ইরানের ওই চার কূটনীতিক ইসরাইলের হাতে বন্দি হয়ে আছেন। আর ইসরাইল বলছে, ফ্যালাঞ্জিস্ট গেরিলারা ওই চার ইরানিকে অপহরণের পরপরই হত্যা করে এবং তাদের দাফনও করে।
তবে লেবাননের হিযবুল্লাহর প্রধান সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ জানান, ইসরাইল অতীতেও তাদের কারাগারে অনেক মুসলিম ও আরব বন্দি থাকার কথা অস্বীকার করেছিল, কিন্তু পরে দেখা গেছে যে তারা ইসরাইলি কারাগারেই বন্দি ছিলেন। সূএ-ইরনা।