মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ, ১৪৩১
আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
ফিলিস্তিনে একের পর এক ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৩৩ হাজার। গাজা উপত্যকায় বয়ে যাচ্ছে নারী-শিশুর রক্তের স্রোত। রক্তগঙ্গা বয়ে দেওয়া ভয়ংকর সব বোমা হামলা চালাতে ইসরায়েলি বাহিনীকে সাহায্য করছে ‘ল্যাভেন্ডার’ নামের গোপন এক এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-নির্ভর টার্গেটিং সিস্টেম।
সম্প্রতি ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি ম্যাগাজিন ‘+972’ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ল্যাভেন্ডার’ ব্যবহার করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে বোমা হামলার লক্ষ্যবস্তু হিসেবে চিহ্নিত করছে। প্রাণঘাতী অভিযানের লক্ষ্যবস্তু ঠিক করতে বাহিনীটি ব্যবহার করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-চালিত ডাটাবেস।
গোপন ও অপরীক্ষিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-চালিত ডাটাবেস ব্যবহারের বিষয়টি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করেছে মানবাধিকার এবং প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের। এআইয়ের সহায়তা নেওয়ার বিষয়টি ‘যুদ্ধাপরাধ’ হতে পারে বলে মনে করছেন তারা। খবর আল-জাজিরার।
টার্গেট করে হামলা চালিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটাতে ৩৭ হাজার ফিলিস্তিনির তালিকা তৈরির জন্য দায়ী এই এআই-নির্ভর ‘ল্যাভেন্ডার’, আজ বৃহস্পতিবার অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেম থেকে এমনটাই জানান আল-জাজিরার প্রতিবেদক ররি চ্যাল্যান্ডস।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ইসরায়েলি গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, ল্যাভেন্ডারের ত্রুটির হার মাত্র ১০ শতাংশের মতো।
হামিদ বিন খলিফা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যপ্রাচ্য স্টাডিজ এবং ডিজিটাল মানবিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মার্ক ওয়েন জোনস আল-জাজিরাকে বলেন, এটা স্পষ্ট যে, বেসামরিক নাগরিকদের জীবন-মৃত্যুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অপরীক্ষিত এআই সিস্টেম মোতায়েন করছে।
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলাকে এআইয়ের সহায়তায় চালানো গণহত্যা দাবি করে তিনি বলেন, যুদ্ধে এআই ব্যবহার বন্ধের আহ্বান জানানো দরকার।