মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ, ১৪৩১
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক।।
ভারতে চিরকালের জন্য বন্ধ হচ্ছে টিকটকসহ আরও ৫৯টি চীনা অ্যাপলিকেশন। যার কারণে দেশটি থেকে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নেয়ার কথা ভাবছে টিকটকের মাদার সংস্থা বাইটড্যান্স।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) তাদের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত দুই হাজারেরও বেশি ভারতীয় চাকরিজীবীকে ইস্তফা দেয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছে সংস্থাটি। খবর ভারতীয় গণমাধ্যমের।
বাইটডান্সের একাধিক অ্যাপ রয়েছে ভারতে। তবে এবার এই দেশ থেকে ব্যবসা গোটানোর পথে হাঁটছে চীনা সংস্থাটি। টিকটক, হ্যালোসহ বিভিন্ন অ্যাপে কর্মরত ভারতীয়র সংখ্যা দু’হাজারেরও বেশি। এবার প্রায় সবাইকে ছাটাই করছে সংস্থাটি। ফলে কাজ হারাতে চলেছে দুই হাজারেরও বেশি চাকরিজীবী।
এদিন সকালে বাইটডান্সের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাহী (সিইও) ভেনেসা পাপ্পাস ও ভিপি ব্লেক শ্যান্ডলে জানান, ‘অনেক চেষ্টা করেছি, যাতে এ দেশের আইন-কানুন মেনে আমরা কাজ করতে পারি। গত সাতমাস ধরে প্রশাসনের সব অভিযোগের সঠিক জবাব দেয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারপরও আমরা কাজ শুরুর ছাড়পত্র পাইনি। কবে আবার এই অ্যাপ ভারতে ফিরবে সেটাও স্পষ্ট নয়। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।’
তারা আরও জানান, ‘ছয়মাস ধরে দুই হাজারেরও বেশি কর্মীদের পাশে ছিল এ সংস্থা। কিন্তু এবার সংস্থার খরচ কমাতেই হবে। তবে টিকটককে ফের বাজারে ফেরানোর চেষ্টা করা হবে।’
কয়েকদিন আগে ভারত সরকার জানিয়েছিল, চীনা অ্যাপ টিকটক ও হ্যালোর জবাবে তারা সন্তুষ্ট নয়। ফলে এগুলোকে চিরতরে নিষিদ্ধ করা হবে। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই মাথায় হাত পড়ে এখানে কর্মরতদের। এদিন সকালে সংস্থার পক্ষ থেকে অফিশিয়ালভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
এদিকে এই ৫৯টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করা নিয়ে ক্ষুব্ধ চীন। বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ‘ভারতের এই পদক্ষেপ বিশ্ব বাণিজ্য চুক্তিকে লঙ্ঘন করছে। চীনের সংস্থাগুলোও ধাক্কা খাবে।’
উল্লেখ্য, বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার অভিযোগ ছিল, একাধিক চীনা অ্যাপ ভারতীয়দের তথ্য চুরি করছে। এরপরই ৫৯টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করে মোদি-সরকার। একইসঙ্গে অ্যাপগুলোকে নোটিশ দেয় সরকার। সরকার জানিয়েছিল, ৭৯টি প্রশ্নের জবাবে সরকার সন্তুষ্ট হলে অ্যাপগুলোকে ছাড়পত্র দেয়া হবে। কিন্তু সেই প্রশ্নের জবাবে সন্তুষ্ট নয় সরকার। ফলে একেবারে বন্ধ হতে চলেছে অ্যাপগুলো।