রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ, ১৪৩১
আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
তালেবান আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের দখল নেওয়ার পর থেকে শহরটির রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যায়। খুব একটা গাড়ি চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে না। মানুষজন ভীত। যে কোনো সময় কিছু একটা ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। তাই সবাই ঘরের ভেতরেই থাকছেন। খবর বিবিসির।
খোলা কয়েকটি মুদি দোকান থেকে মালামাল কিনতে পারছে মানুষজন। কিন্তু বড় মার্কেট এবং শপিংমলগুলো বন্ধ রয়েছে। আমদানি নির্ভর দেশ আফগানিস্তানে গত কয়েকদিন ধরেই ডলারের বিনিময় মূল্য অনেক বেড়েছে। ফলে সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে। তবে বাইরে যাওয়া ও মানুষজনের সঙ্গে কথা বলার ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। এমনকি ভিডিও-ও করা যাচ্ছে।
বিবিসি নিউজের মালিক মুদাস্সের কাবুল থেকে জানিয়েছেন, তিনি সোমবার (১৬ আগস্ট) ভেবেছিলেন, তাকে হয়তো ভিডিও করতে বা মানুষজনের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হবে না। কিন্তু তাকে কোথাও বাধা দেয়া হয়নি বা জিজ্ঞেস করা হয়নি তিনি কে বা কেন এটা করছেন।
শহরের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছে তালেবান, এমনকি যান চলাচল ব্যবস্থারও। সব জায়গায় তাদের দেখা যাচ্ছে। প্রতিটা মোড়ে দাঁড়িয়ে তারা নিশ্চিত করছে যে, তারা শহরটির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
সাংবাদিক মালিক মুদাস্সের তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। জিজ্ঞেস করেছেন কেন তারা রাস্তার মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন এবং এখন তারা কী কাজ করছে? জবাবে তারা বলেছেন, তারা শহরের শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করছেন। তারা যানবাহন তল্লাশি করছেন, বিশেষ করে তাদের তালেবান সহকর্মীদের দিকে নজর রাখছেন।
মালিক এর কারণ জানতে চাইলে তারা বলেছেন, এসব গাড়ি এর আগে সরকারি কর্মকর্তারা ব্যবহার করতেন। সেখানে মালামাল লুটকারীরা থাকতে পারে, যারা তালেবানের বদনামে ফেলতে পারেন।
তবে কাবুলে যারা বের হচ্ছেন তাদের মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে অজানা আতঙ্ক সবার মনে। পরবর্তীতে কী হতে চলেছে, কেউ সেটা জানে না।
প্রসঙ্গত, আফগানিস্থানে ২০ বছরের সামরিক অভিযান শেষে সম্প্রতি মার্কিন সেনাদের ফিরিয়ে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। এরপর থেকে দেশটির একের পর এক প্রদেশ দখল করে নেয় তালেবান। সর্বশেষ রোববার তালেবান বাহিনী আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
তালেবানরা কাবুলের কাছাকাছি আসার পর থেকেই দেশটির সামরিক-বেসামরিক মানুষের মধ্যে দেশ ছাড়ার হিড়িক লেগে যায়। এরই মধ্যে দেশটির মার্কিন সমর্থিত প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি দেশত্যাগ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কয়েকটি দেশ তাদের দূতাবাসের কর্মী ও নাগরিকদের কাবুল ছাড়তে সাহায্য করার জন্য সেনাদল পাঠিয়েছে।