শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ, ১৪৩১
আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
মিয়ানমারে অং সান সু চি’র নেতৃত্বাধীন বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে জরুরি অবস্থা জারির প্রসঙ্গে প্রথমবারের মতো মুখ খুলেছেন দেশটির সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাং। অভ্যুত্থানের পক্ষে সাফাই গেয়ে তিনি বলেছেন, দেশে সেনাশাসন জারি করাটা অপরিহার্য ছিল এবং আইনানুগ পথেই তা করা হয়েছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, মঙ্গলবার (০২ ফ্রেবুয়ারি) সেনা সদসদের নিয়ে গঠিত মন্ত্রিপরিষদে দেওয়া বক্তব্যে এমন দাবি করেন তিনি।
সোমবার (০১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। এদিন অভিযান চালিয়ে রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি এবং ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের আটক করা হয়। রাজধানী নেপিডো ও প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় রাস্তায় টহল দিতে শুরু করে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। এরপর সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যুত্থানের খবর নিশ্চিত করে সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার আগের মন্ত্রীদের বরখাস্ত করে সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাং এর নেতৃত্বে ১১ সদস্যের মন্ত্রিপরিষদ গঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (০২ ফেব্রুয়ারি) প্রথমবারের মতো এ মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়।
বৈঠকে সেনাপ্রধান দাবি করেন, আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই সেনাবাহিনী ক্ষমতাগ্রহণ করেছে। নির্বাচনে জালিয়াতি সংক্রান্ত অভিযোগগুলো মোকাবিলা করতে সরকার ব্যর্থ হওয়ায় ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে তাদেরকে। ‘অনেক অনুরোধের পরও সরকার সাড়া দেয়নি। এমন অবস্থায় দেশের জন্য এটা (অভ্যুত্থান) অপিহার্য ছিল। আর সেকারণে আমরা সে পথই বেছে নিয়েছি।’ বলেন মিন অং হ্লাং।
এএফপি জানিয়েছে, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ফেসবুক পেজে বক্তব্যটি প্রকাশ করা হয়েছে।