বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ, ১৪৩১
রূপালী স্বাস্থ্য।।
পথে ঘাটে চলতে গেলে অনেকেই কুকুরের কামড় খেয়ে বসেন। যা যন্ত্রণাদায়ক ও মারাত্মক। কুকুরের লালায় উপস্থিত রেবিস ভাইরাস থেকে জলাতঙ্ক রোগ হতে পারে। এটি একটি স্নায়ুবিক রোগ। সময়মতো প্রাথমিক চিকিৎসা না করা গেলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই কুকুর কামড়ানোর পর সময়মতো চারটি পদক্ষেপ নিলে জলাতঙ্ক রোগের ঝুঁকি থাকে না। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক
প্রয়োজনীয় কাজগুলো-
১. রক্ত বন্ধ করুন: ক্ষতস্থানে চাপ দিয়ে কিছুক্ষণ ধরে রাখুন। এতে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।
২. ক্ষত স্থান পরিষ্কার করুন: প্রথমে একটি পরিষ্কার তোয়ালে বা কাপড় দিয়ে ক্ষত স্থানটি চেপে ধরুন। তারপর ক্ষত স্থানটি ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করতে পারেন। তবে ক্ষত স্থান পরিষ্কার করার সময় খুব বেশি চাপ দিয়ে ঘষাঘষি করবেন না।
৩. ব্যান্ডেজ: ক্ষতস্থানটিতে অ্যান্টিবায়েটিক ক্রিম বা অয়েন্টমেন্ট লাগিয়ে তার পর একটি গজ দিয়ে ভালো করে ব্যান্ডেজ করে ফেলুন।ক্ষতস্থান খোলা থাকলে এতে বিভিন্ন রোগ জীবাণুর সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে।
৪. দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া: প্রাথমিক চিকিৎসার পর দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে এবং তাকে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ইনজেকশন দিতে হবে। কুকুর কামড়ের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই ইনজেকশন দেয়া উচিত।
রাস্তার কুকুরের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে পরবর্তী ওষুধ, ইনজেকশন বা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা অবশ্যই করাতে হবে।
সতর্কতা
কুকুরের কামড়ে অনেক সময় রোগী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন বা মারাত্মক ভয় পেয়ে যান। তবে এই পরিস্থিতিতে ভেঙে পড়লে চলবে না। প্রাথমিক চিকিৎসার পর অবশ্যই রোগীকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে এবং দ্রুত প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু করতে হবে।
ডা: কে.এম. জাহিদুল ইসলাম
এমবিবিএস(ঢাকা), বিসিএস (স্বাস্থ্য)
এমএস (অর্থোপেডিক সার্জারী) অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি হাসপাতাল) ঢাকা।