রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
ভূঁইয়া কামাল মুলাদী (বরিশাল)।।
বরিশালের মুলাদী উপজেলা সদর নবিন সংঘ সংলগ্ন রেইনট্রি গাছটির ডাল পালা সোমবার (০৬ মে) বিকেলে ঝড়ে ভেঙ্গে পরে ব্যাবসায়ী তোফাজ্জেল হোসেনের ঘরের উপর। বিকট শব্দে আতংক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ পথচারীদের মধ্যে। ডালটি ভেঙ্গে ঝুলে আছে বিদ্যুতের তারের সাথে।
গত ২৪ মার্চ অনলাইন রূপালী বার্তায় “মুলাদীতে অর্ধশত বছরের রেইনট্রি গাছটি এখন মারণঘাতী” এই শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদ প্রকাশের ১ মাস অতিবাহিত হলেও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় বড় একটি ডাল ভেঙ্গে পড়ে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের উপর। ঝড়-বন্যা ব্যাতিত যে কোন সময় গাছটির পুরানো ডাল-পালা দোকানের উপর ও পথচারীদের উপর পড়তে পারে। সর্বসময় ব্যবসায়ীরা ও পথচারীরা থাকেন আতঙ্কে। গাছটির নিচে ছোট ছোট দোকান রয়েছে। ঝুঁকির মধ্যে দিয়েও তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে মুলাদী উপজেলা বন বিভাগ কর্মকর্তা মোঃ খলিলুর রহমান বলেন, গাছটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তখনই বিদ্যুতের লাইন সরিয়ে অন্যভাবে নেয়া দরকার ছিল। আমি উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের সাথে কথা বলে পুরানো ডাল সরানোর ব্যবস্থা করবো। গাছটির নিচে অনেক ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান থাকায় সাবধানের সাথে ডাল-পালা কাটতে হবে। তাই সময়ের প্রয়োজন।
এ গাছটির নীচ দিয়ে প্রতিদিন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী, অফিস-আদালতের কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ হাজার হাজার লোক যাতায়াত করে। চলাচল করে শতশত ছোট-বড় যানবাহন। গাছটির ডাল-পালার মধ্যে দিয়ে নেয়া হয়েছে হিজলা-মুলাদীর ৩৩ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ লাইন। চলাচলকারীরা ঝুঁকির মধ্যে দিয়েই চলাচলকরে। যা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
স্থানীয় ব্যবসায়ী তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ডাল পরে আমার ঘরের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। ব্যবসায়ী আঃ সালাম মির বলেন, কোন সময় গাছের মরা ডাল ভেঙ্গে পড়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি ক্ষতি হয় বলা যায় না। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বনবিভাগ ও পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাগণসহ উপজেলার বড় বড় কর্মকর্তাগণ যাতায়াত করলেও তাদের দৃষ্টি গোচর হয় না। পথচারী জালাল আহম্মেদ বলেন, কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিতে নিতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এলাকার বিশিষ্টজনেরা বলেন বড় ধরনের দুর্ঘটনার আগেই জনস্বার্থে গাছের মরা ডালগুলো সড়িয়ে নিরাপদে পথচারী, গাড়ী চলাচল ও ব্যবসায়ীদের নিরাপদে থাকার ব্যবস্থা করার দাবি জানান সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি।