বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ, ১৪৩১
স্পোর্টস ডেস্ক।।
ম্যারাডোনার চিকিৎসা ঘিরে অবহেলার অভিযোগ ছিল। আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি এই ফুটবলারকে ইচ্ছাকৃত ভাবে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল চিকিৎসক এবং নার্সসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে ম্যারাডোনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ছয়জন নার্সকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
তাদের মধ্যেই একজন দাহিনা গিসেলা মাদ্রিদ। তার অভিযোগের আঙুল ফুটবল তারকার চিকিৎসকদের দিকে। ম্যারাডোনার মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তাধীন নার্সের আইনজীবী রোদোলফো বাকে জানালেন, চিকিৎসকরাই খুন করেছেন ম্যারাডোনাকে। খবর এনডিটিভির।
হাসপাতালে দিনের বেলায় ম্যারাডোনার দেখাশোনা করতেন মাদ্রিদ। সংবাদমাধ্যমের কাছে তার আইনজীবী বাকে বলেন, ‘ওরা ম্যারাডোনাকে মেরে ফেলেছে’।
মাদ্রিদের আইনজীবির জানালেন, তার মক্কেলের অভিযোগ চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। ম্যারাডোনার মৃত্যুর জন্য মাদ্রিদ দায়ী নয়, দায়ী চিকিৎসকরা।
বাকেরের অভিযোগ, ম্যারাডোনার তখন হৃদরোগের চিকিৎসা চলছিল। সেই সময় তাকে মানসিক রোগের ওষুধ দেওয়া হয় যা তার হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দেয়। এর ফলেই মৃত্যু হয়েছে ফুটবলের এই কিংবদন্তির।
হাসপাতালে থাকাকালীন সময়ে ম্যারাডোনা পড়ে গিয়েছিলেন, তখন মাদ্রিদ ক্যাট স্ক্যান করানোর কথা বলেছিলেন। ম্যারাডোনার এক সহযোগী তা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, মিডিয়া যদি এটি জানতে পারে, তাহলে খারাপ দেখাবে।
মাদ্রিদের হয়ে কথা বলার সময় বাকে জানালেন, ম্যারাডোনা যে মারা যাবেন এটির সতর্কীকরণ লক্ষণ ছিল। কিন্তু ডাক্তাররা এটিকে আটকাতে কিছুই করেননি।
হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ৬০ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি মারা যান গত বছরের ২৫ নভেম্বর। এরপর থেকেই পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসায় গাফিলতির কথা বলা হচ্ছিল।