শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১
নিয়ন মতিয়ুল।।
তরুণ ও মেধাবী সংবাদকর্মী তানভির হাসান তানু আমার এক সময়ের সহকর্মী। বাংলামেইলে অনেকদিন একসঙ্গে কাজ করার সুযোগে তার নিউজ লেখার স্টাইল আমার জানা। মামলা ও গ্রেপ্তারের কারণ সেই নিউজটিও পড়ে দেখেছি। সবপক্ষের বক্তব্য, সম্ভব সব তথ্যসহ তার মতো করে নিউজটা করেছে। বড় রকমের কোনো তথ্য ঘাটতি আমার চোখে পড়েনি।
নিউজের ফোকাসটা ছিল রোগীদের নিম্নমানের খাবার সরবরাহ। করোনা মহামারি মুখ্য হিসেবে ধরা যায় না। করোনার আগেও সারাদেশের অনেক হাসপাতালের এটা একটা সাধারণ চিত্র ছিল। যে চিত্রের কোনো বদল ঘটেনি।
তনুর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার এজাহারে প্রধান যেসব অভিযোগ- তার মধ্যে ‘জনরোষ সৃষ্টি ও মানহানিকর’ শব্দ দুটি উল্লেখ করা হয়েছে। করোনার মধ্যে জনরোষ সৃষ্টি করে এমন প্রতিবেদন লেখা নিয়ে নিশ্চয়ই সংবাদকর্মীদের সচেতনতা রয়েছে। সেটা আলোচনার বিষয় হতেই পারে। তবে মামলার পর তানুকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে যে ‘জনরোষের সৃষ্টি’ বা ‘মানহানিকর’ পরিস্থিতি সৃষ্টি হলো সে দায় কি তানুর না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের?
প্রতিবেদনে যে সমস্যার কথা বলা হয়েছে, তার সমাধান কিংবা ব্যাখ্যা দিয়েই ঘটনা চুকিয়ে ফেলতে পারতো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তা না করে ভিন্ন পথ বেছে নিয়েছে তারা। এতে কার লাভ হলো?
লেখক: সিনিয়ার সাংবাদিক।