শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১
ধর্ম ও জীবন।।
জিলহজ মাসে মুমিন মুসলমানের জন্য নির্ধারিত ৫ দিনে ২৩ ওয়াক্ত নামাজে তাকবিরে তাশরিক ওয়াজিব আমল। আর দশকজুড়ে এ আমলটি বেশি বেশি করতে বলেছেন স্বয়ং বিশ্বনবি। হাদিসে এসেছে- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, জিলহজ মাসের প্রথম দশকে তোমরা বেশি বেশি তাকবির (আল্লাহু আকবার), তাহলিল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) ও তাহমিদ (আলহামদুলিল্লাহ) বলবে।’ (মুসনাদে আহমাদ)
তাকবিরে তাশরিক হলো-
اَللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَر لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَ اَللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَر وَ للهِ الْحَمْد
উচ্চারণ: আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’
অর্থ: ’আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই; আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; সব প্রশংসা মহান আল্লাহ জন্য।’
ওয়াজিব আমলের সময় ও নিয়ম: হজের দিন (৯ জিলহজ) ফজর নামাজের পর থেকে ১৩ জিলহজ আসর নামাজ পর্যন্ত মোট ৫ দিন ২৩ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের সালাম ফেরানোর পর নারী-পুরুষ (প্রাপ্তবয়স্ক) সবার জন্য ১ বার তাকবিরে তাশরিক পড়া ওয়াজিব। পুরুষরা উচ্চস্বরে পড়লেও নারীরা তা নিচু আওয়াজে পড়বে। তবে ফরজ নামাজের পর একবার পড়া ওয়াজিব আর তারপর একাধিকবার পড়া মোস্তাহাব।
সুন্নাতের অনুসরণে তাকবিরের আমল: জিলহজ মাসের শুরু থেকে নির্ধারিত দিনগুলো ছাড়াও পুরো দশকজুড়ে বেশি বেশি তাকবিরে তাশরিক পড়া সুন্নাত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চলাফেরা, উঠা-বসা তথা সব সময় বেশি বেশি তাকবিরে তাশরিক পড়বেন।
উল্লেখ্য, ১৪৪২ হিজরি সনের শেষ মাস জিলহজ চলছে। আগামী ২১ জুলাই মোতাবেক ১০ জিলহজ পবিত্র ঈদুল আজহা ও কুরবানি অনুষ্ঠিত হবে। ঈদুল আজহা, হজ ও কুরবানির জন্য অন্যান্য মাসের তুলনায় এ মাসের মর্যাদা অনেক বেশি। আর এ মাসটির প্রথম দশকজুড়ে বেশি বেশি তাকবির, তাহলিল ও তাহমিদ বেশি বেশি পড়ার কথা বলেছেন স্বয়ং বিশ্বনবি।
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, তাকবিরে তাশরিকের নির্ধারিত ৫ দিন ২৩ ওয়াক্ত নামাজ ছাড়াও পুরো দশকজুড়ে বেশিবেশি এ তাকবির পড়ার মাধ্যমে সুন্নাতের অনুসরণ ও অনুকরণ করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের অনুসরণে চলতি দশকজুড়ে বেশি বেশি তাকবির, তাহলিল ও তাহমিদ বেশি বেশি পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।