বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ, ১৪৩১
মো. আসাদুজ্জামান, ঠাকুরগাঁও।।
ঠাকুরগাঁওয়ে বন্যার কারণে দেরিতে চাষ হওয়ায় বাজারে এখনও সেভাবে নতুন আলুর দেখা নেই। পুরনো আলুর মজুতও শেষ। ফলে আলুর দাম বেড়েই চলেছে । আবার সারাদরশে মহামারী করোনা ভাইরাস।
অকাল বৃষ্টিতে ফের ক্ষতির আশঙ্কা আলু চাষে। ৬/৭ মাস টানা বৃষ্টিতে পূর্ব বর্ধমান জেলার অনেক আলু জমিতেই জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে এই আলু পচে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। এমনিতেই বন্যার কারণে দেরিতে চাষ হওয়ায় বাজারে এখনও সেভাবে নতুন আলুর দেখা নেই।
পুরনো আলুর মজুতও শেষ। ফলে আলুর দাম বেড়েই চলেছে। এরপর এই প্রতিকূল আবহাওয়ায় ফলন মার খেলে পেঁয়াজের মতো আলুর দামও আকাশ ছোঁয়ার পথে পা বাড়াবে।
৬/৭ মাস টানা বৃষ্টি থাকায় পূর্ব বর্ধমানের প্রায় সর্বত্রই দফায় দফায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। সেই বৃষ্টির পরে বেশিরভাগ আলু জমিতেই জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। জমি শুকোনোর আগেই ফের এই বৃষ্টি আলু চাষের পক্ষে বেশ ক্ষতি করতে পারে। জমিতে জল দাঁড়িয়ে থাকলে আলু পচে যেতে পারে। এমনটাই আশঙ্কা করছেন কয়েক জন কৃষক। ক্ষতির আশঙ্কা থাকছে শীতকালীন সবজিতেও।
এই আশঙ্কা সত্যি হলে আলুর ফলন মার খাবে। তাতে আলুর দাম আরও বাড়তে পারে। সব মিলিয়ে বৃষ্টির জেরে মাথায় হাত কৃষকদের। আলু চাষীদের বক্তব্য, জলের অভাবে প্রথমে আলু চাষ শুরু করা যায়নি। বিকল্প সেচের মাধ্যমে চাষ করার পর বন্যা তা নষ্ট হয়ে যায়। এখন আলু ওঠার মুখে এই বৃষ্টি ফের ক্ষতির মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। চড়া দামে বীজ কিনে ধার দেনা করে চাষ করে এখন লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে।
কৃষকরা বলছেন, এই বৃষ্টি আরও চললে আলুর আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। পাশাপাশি খামখেয়ালি আবহাওয়ার জেরে এখন শীতকালীন সবজিরও দাম বাড়ার আশঙ্কা।