শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১
নলছিটি প্রতিনিধি।।
ঝালকাঠির নলছিটিতে অগ্রক্রয়ের (প্রিয়েমশন) মামলা চলমান জমিতে বিবাদী পক্ষ লোকজন নিয়ে দিনেদুপুরে জোরপূর্বক বসতঘর উত্তোলণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে নলছিটি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
মামলার এজাহার ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নলছিটি পৌরসভার পরমপাশা গ্রামের জে,এল ৮৮,৮৯,৯০,৯১,৯২,৯৩,৯৪,৯৫ ও ৯৬ নং খতিয়ানের ৩০ শতাংশ জমিতে গত ০৬/১১/২০২০ ইংরেজি তারিখ পরমপাশা গ্রামের আশ্রাব আলী খানের ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ জাকির হোসেন, মোঃ সাইদুর রহমান, ইব্রাহিম খান লোকজন ও সার্ভেয়ার এনে জমি মেপে ওই জমির মালিক শামীমা আক্তার দের জমি বুঝিয়ে দিতে বলেন। বিষয়টি অবগত হয়ে শামীমা আক্তার গত ১১/১১/২০২০ ইংরেজি তারিখ নলছিটি সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে উক্ত দলীলের সহিমহর উত্তোলন করিয়া জানতে পারে (জাহাঙ্গীর) গং রা ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে গোপন ওয়ারিশের সম্পত্তি কিনে নিয়েছে।
এমতাবস্থায় জমি নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে অকৃষি প্রজাস্বত্ব আইনের ২৪ ধারার বিধানমতে অগ্রক্রয়ের আদেশ পাওয়ার প্রার্থনা করে পরমপাশা গ্রামের মৃত্যু আঃ আউয়াল খানের মেয়ে শামীমা আক্তার বাদী হয়ে ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম জজ ২য় আদালতে ২৩/১১/২০২০ ইংরেজি তারিখ একটি প্রিয়েমশন মামলা দায়ের করেন। অগ্রক্রয়ের (প্রিয়েমশন) মামলার আইন অনুযায়ী তার মামলার বিবাদী গনের রেজিস্ট্রি দলিল মুলে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় ক্রয় মূল্যের সাথে ক্ষতিপূরণ ৫% হারে আরো ২২ হাজার পাঁচ শত টাকা যোগ করে মোট ৪ লক্ষ ৭২ হাজার পাঁচ শত টাকা চালান যোগে দাখিল করেন বাদী শামীমা আক্তার।যাহার প্রিয়েমশন মামলা নং ০৪/২০২০।
মামলা চলমান অবস্থায় হঠাৎ করে গত (৩ ডিসেম্বর) ২০২০ ইংরেজি তারিখ আনুমানিক বিকাল ৪ টার দিকে মামলার বিবাদী পরমপাশা গ্রামের আশ্রাব আলী খানের ৪ ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ জাকির হোসেন, মোঃ সাইদুর রহমান ও ইব্রাহিম খান লোকজন নিয়ে বাদীর দখলীয় সম্পত্তিতে জোরপূর্বক বসতঘর নির্মাণ করেন। বিষয়টি দেখতে পেয়ে শামীমা আক্তার নলছিটি থানায় উপস্থিত হইয়া একটি লিখিত অভিযোগ জে দায়ের করেন।
এ বিষয়ে নলছিটি থানার এসআই সুলাইমান জানান, আমি অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং বিবাদীদের শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট না করতে বলে এসেছি।
মামলার বিবাদী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমরা আমার চাচাতো ফুফুর সম্পত্তি দলিল মূলে ক্রয় করেছি। উক্ত সম্পত্তিতে বিগত এক বছর আগে থেকেই হোল্ডিং নাম্বার ও ঘর উত্তোলন করেছি।