শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১
রূপালী স্বাস্থ্য:
প্রতিটা মানুষই কাজের মধ্যে মানসিক চাপ অনুভব করে। ছোট থেকে বড় সব বয়সের মানুষের মধ্যে এই প্রবণতা দেখা যায়। শুধু যে বড়রাই মানসিক চাপ অনুভব করে তা ঠিক নয়। বিশেষ করে বাবা-মার অবহেলা থেকে শিশুরা মানসিক চাপ ভোগ করে। ছোটদের পড়াশুনার ক্ষেত্রে এটি অনুভব করা যায়। আর বড়দের ক্ষেত্রে চাকরি-বাকরি, পারিবারিক সমস্যা, ঝগড়া-বিবাদ থেকে বিভিন্ন মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন গবেষনার ফলে প্রমাণিত হয়েছে, মানসিক চাপ হৃদযন্ত্রের ক্ষতি সাধন করে। কিছু মানসিক চাপ বা উদ্বেগ মানুষের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যারও জন্ম দেয়।
যেমন-
ঘুমের ব্যাঘাত বা বিরক্তি বা খিটখিটে মেজাজ
কর্মদক্ষতা কমে যাওয়া বা খাদ্যের প্রতি অনীহা
অ্যালকোহল, তামাক বা মাদকদ্রব্যে আসক্তি বেড়ে যায়।
হয়তো আপনি কখনোই আপনার চাকরিদাতাকে শারীরিক আঘাত করতে চাইবেন না, কিন্তু মানুষ এ পরিস্থিতিতে এমনটাই করে বসে। এ রকম পরিস্থিতিতে দেহে যেসব পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়-
হৃৎস্পন্দন বৃদ্ধি বা দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস
মাথা ঘোরা বা মাথা ব্যথা
বমি বমি ভাব বা পেশিতে টান অনুভব করা।
এ পরিবর্তনগুলোর মূল কারণ কর্টিসোল। কর্টিসোল এক প্রকার হরমোন, যা দেহে গ্লুকোজ নিঃসরণ ঘটায়। এই গ্লুকোজ পেশিতে শক্তি সরবরাহ করে এবং হুমকিকে শারীরিকভাবে আঘাত করতে প্ররোচিত করে। সম্প্রতি একটি স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইটে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকার কিছু উপায় জানানো হয়। যেগুলো মানসিক চাপ কমিয়ে হৃদয়ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে-
১. পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন
২. বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান
৩. নির্ভুল হওয়ার চিন্তা বাদ দিন
৪. ক্ষোভ ঝেড়ে ফেলুন
৫. প্রাণ খুলে হাসুন
৬. মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন
৭. ক্যাফেইন নেওয়া কমিয়ে দিন।
ডা: কে.এম. জাহিদুল ইসলাম
এমবিবিএস(ঢাকা), বিসিএস (স্বাস্থ্য)
এমএস (অর্থোপেডিক সার্জারী) অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি হাসপাতাল) ঢাকা।