মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
গণমাধ্যম ডেস্ক।।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া মামলায় কারাবন্দি ফটোসাংবাদিক ও পক্ষকাল পত্রিকার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজলের অবিলম্বে মুক্তি চেয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের চলমান অধিবেশনে বিবৃতি দিয়েছে আর্টিকেল নাইনটিন। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সুরক্ষায় কাজ করা এই মানবাধিকার সংস্থাটি বিবৃতিতে কাজলের সঙ্গে করা অমানবিক আচরণের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জেনেভায় মানবাধিকার পরিষদের ৪৫তম নিয়মিত অধিবেশনে সাধারণ বিতর্ক চলাকালে আর্টিকেল নাইনটিন এ আহ্বান জানায়। মানবাধিকার পরিষদের নজরে আনা প্রয়োজন- এমন গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকার ইস্যু এই বিতর্কে আলোচিত হয়। অধিবেশনে আর্টিকেল নাইনটিনের বক্তব্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাংবাদিকদের ওপর চলমান হামলা-নির্যাতনের বিষয়টি উঠে আসে।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আর্টিকেল নাইনটিনের বক্তব্যে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে সাংবাদিকদের প্রতি সহিংসতার ঘটনাগুলো প্রায়শই বিচারহীনতায় শেষ হয়। ২০২০ এর মার্চ মাসে একজন সংসদ সদস্য কর্তৃক মানহানির মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পরপর ফটোসাংবাদিক ও সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজল সন্দেহজনকভাবে নিখোঁজ হন। নিখোঁজের ৫৩ দিন পর, একটি মাঠের মধ্য থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় ‘উদ্ধার’ করে তাকে হেফাজতে নেয়া হয়। তখন থেকে মানহানি সংক্রান্ত ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগে কারাবন্দি। নিখোঁজ হওয়ার সময় তিনি নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে ছিলেন- এমন দাবির পক্ষে সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে। আমরা কাজলকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে এবং তার প্রতি অমানবিক আচরণের জন্য দায়ীদের জবাবদিহির ব্যবস্থা করার জন্য বাংলাদেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।’
এ প্রসঙ্গে আর্টিকেল নাইনটিন বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন, ‘সাংবাদিক কাজল কারাগারে আছেন প্রায় চার মাস হতে যাচ্ছে। তার জামিন আবেদন এ পর্যন্ত ১৩ বার প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। যে প্রক্রিয়ায় কাজলকে আটকে রাখা হয়েছে তাতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা পরিস্থিতি ও মানবাধিকার সুরক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়ে গেছে। বিশ্ব দরবারে দেশের ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য সরকারের উচিত হবে অবিলম্বে কাজলের মুক্তির ব্যবস্থা করা।’
মানবাধিকার পরিষদে আর্টিকেল নাইনটিনের বক্তব্যে আরও বলা হয়, কাগজসর্বস্ব প্রতিশ্রুতি যথেষ্ট নয়। প্রতিশ্রুতির প্রতিপালন অপরিহার্য। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রাষ্ট্রসমূহকে অবশ্যই সব সাংবাদিক এবং মিডিয়াকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।