বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ, ১৪৩১
বিশেষ প্রতিবেদক।।
মোঃ ছাইদুর রহমান বাংলাদেশের নন্দিত ও কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের কথাসাহিত্য নিয়ে গবেষণা করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ (আইবিএস) থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তাঁর গবেষণার বিষয় ‘হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস: বিষয়-বৈচিত্র্য ও উপস্থাপন-কৌশল’।
তিনি বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সদস্য এবং বর্তমানে নরসিংদী সরকারি মহিলা কলেজে সহকারী অধ্যাপক পদে কর্মরত। ছাইদুর রহমানের গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজের প্রফেসর ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশিষ্ট অভিধানতত্ত্ববিদ ড. স্বরোচিষ সরকার। তাঁর অভিসন্দর্ভের বহিঃপরীক্ষক ছিলেন ভারতের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ও বিশিষ্ট আভিধানিক প্রফেসর ড. পবিত্র সরকার এবং অভ্যন্তরীণ পরীক্ষক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ও বাংলা কথাসাহিত্যের বিশিষ্ট গবেষক প্রফেসর ড. সৈয়দ আজিজুল হক। গবেষণার মৌলিকত্বের জন্য গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ৫০৪তম সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে মোঃ ছাইদুর রহমানকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করেন। এই গবেষণার জন্য তিনি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ফেলোশিপ পেয়েছেন।
সাগর ও নদীতে জড়িয়ে প্রকৃতির নিবিড় মমতায় গড়ে ওঠা বাংলাদেশের দক্ষিণের জেলা বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া গ্রামে ডক্টর ছাইদুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মোঃ রমিজ উদ্দিন হাওলাদার এবং মাতা আফরোজা বানু। অবসরে বই পড়ে ও গান শুনে সময় কাটান তিনি। সময় পেলে ঘুরতে পছন্দ করেন। ভালোবাসেন নদী ও বৃক্ষ। তাঁর প্রিয় লেখক নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, রবাট ফ্রস্ট ও কীটস। তিনি সৈয়দ ফজলুল হক ডিগ্রি কলেজ, পাথরঘাটা থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধাতালিকায় বরগুনা জেলায় প্রথম স্থান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে অনার্স ও পঞ্চম স্থানসহ এম এ পাশ করেন। তিনি ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ, বরগুনা সরকারি কলেজ, পিরোজপুর সরকারি মহিলা কলেজ, বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজ ও গৌরনদী সরকারি কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। নিরবচ্ছিন্ন গবেষণার মাধ্যমে তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের নতুন নতুন বিষয় অনুসন্ধান করে চলেছেন। গবেষণায় অর্জিত তাঁর এই অভিজ্ঞতা তিনি দেশ ও মানুষের কল্যাণে ব্যয় করতে চান। তিনি সকলের নিকট দোয়া প্রার্থী।