শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ, ১৪৩১
ভূঁইয়া কামাল, মুলাদী (বরিশাল)।।
বরিশালের মুলাদী উপজেলায় সফিপুর খেয়াঘাট থেকে চরকালেখান মাদ্রাসা বাজার পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থান ভেঙে যাওয়ায় সফিপুর, চরকালেখান ও বাটামারা ইউনিয়নের অর্ধলক্ষ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। দীর্ঘ দিনেও সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন উপজেলার উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দারা। ওই ভাঙা সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলছে লেগুনা, অটোরিকশা, ভ্যানগাড়িসহ অনেক মটর সাইকেল।যা চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। ব্যবসায়ীগণ তাদের মালামাল নেয়ার জন্য পরিবহন সমস্যায় পড়ে থাকেন।
জানা গেছে, উপজেলা সদর থেকে সফিপুর, বাটামারা ও চরকালেখান ইউনিয়নের যোগাযোগের অন্যতম প্রধান পথ সফিপুর খেয়াঘাট থেকে চরকালেখান মাদ্রাসা বাজার সড়ক। এই সড়ক দিয়ে চরকালেখান নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসা, চরকালেখান কলেজ, হাজি সৈয়দ বদরুল হোসেন কলেজ, সফিপুর মুন্সীরহাট নূর এ তাজ মাদ্রাসা, ব্যাপারীর হাট ও মাদ্রাসার হাটসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে হয়।
প্রায় ৭-৮ বছর আগে কয়েক ধাপে চরকালেখান কলেজ গেট থেকে সফিপুর খেয়াঘাট পর্যন্ত সড়কটি পাকা করা হয়। কয়েকটি স্থানে পিচ ঢালাই করা হলেও অনেক স্থানে সিসি ঢালাই করা হয়েছে। সড়কের অনেক জায়গায় পিচ উঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় সিসি ঢালাই ভেঙে পড়েছে। সড়ক সংলগ্ন খালের পাশে পাইলিং না করায় মাটি সড়ে গিয়ে রাস্তার ঢালাই ভেঙে পড়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেন এলাকাবাসী। মাদ্রাসা বাজার থেকে সফিপুর খেয়াঘাট পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সড়কের কোনো উন্নতি নেই।
ব্যাপারীর হাটের বাসিন্দা মোতালেব হোসেন জানান, এ সড়ক দিয়ে ব্যাপারীর হাট, ষোলঘর, কায়েতমারা, চরমালিয়ার, ঝুটপট্টি এলাকার লোকজন হাটবাজার, স্কুলকলেজ ও মাদ্রাসায় যাতায়াত করে থাকেন। সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে জনসাধারণের চরম ভোগান্তি বেড়ে গেছে।
সফিপুরের ইউপি চেয়ারম্যান আবু মুছা হিমু মুন্সী বলেন, ‘সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কয়েকটি ধাপে সড়কটিতে সিসি ঢালাই ও পিচ ঢালাই করা হয়েছে। সিসি ঢালাই অংশের অনেক জায়গা ভেঙে গেছে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সফিপুরের ৩০ হাজার মানুষ। সড়কটি সংস্কার করা অনেক জরুরি।’
চরকালেখান ইউপির চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম সরদার বলেন, ‘ভাঙা সড়কগুলো সংস্কার করার দাবি উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে।’
উপজেলা এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী জিয়াউর রহমান জানান, সড়কটি সংস্কারের জন্য নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে চাহিদা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই ভাঙা সড়ক দ্রুত সংস্কার করা হবে।