শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
মৌলবাদী অপশক্তিগুলো দেশকে পিছিয়ে দেওয়ার যে অপচেষ্টায় লিপ্ত, তা রুখে দিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (০৪ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে বাংলাদেশ বেতারের খুলনা কেন্দ্রের ৫০ বছরপূর্তি অনুষ্ঠানমালা উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সমসাময়িক প্রসঙ্গে মন্ত্রী এ কথা বলেন। তথ্যসচিব খাজা মিয়া, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক হোসনে আরা তালুকদার অনলাইনে এবং খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুন অর রশীদ খুলনা বেতারকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলো যুগে যুগে দেশকে পিছিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালিয়েছে। আজকেও দেশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে, নানা বিষয়ে অপব্যাখ্যা ও ফতোয়া দেওয়া হচ্ছে। এই ফতোয়াবাজরা নানা সময়ে ফতোয়া দিয়ে সমাজে অস্থিরতা তৈরি করেছে।’
এই প্রেক্ষাপটে বেতারসহ সমগ্র গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, দেশ যাতে প্রগতির দিকে যায় এবং একইসঙ্গে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন দেশপ্রেম, মেধা ও মনন সমন্বয়ে আগামীদিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেদের তৈরি করতে পারে, সেই লক্ষ্য নিয়েই গণমাধ্যমের অনুষ্ঠান নির্মাণ করতে হবে। বিনোদন দেওয়ার ক্ষেত্রেও আমাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি-ঐতিহ্যকে প্রাধান্য দিতে হবে, তাহলেই আকাশ-সংস্কৃতির আগ্রাসন মোকাবিলা করে আমরা দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে দিতে পারব।
তথ্যমন্ত্রী এ সময় সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বেতারের খুলনা কেন্দ্রসহ পুরো বেতার পরিবারকে অভিনন্দন জানান। সমুদ্র এবং পাহাড়চূড়াসহ সব প্রান্তে অবস্থিত জনমানুষের কাছে পৌঁছুনার জন্য বেতারকে অনন্য গণমাধ্যম হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি সবকিছুর সঙ্গে বেতার জড়িয়ে আছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র বাংলাদেশ বেতারের সবচেয়ে বড় অর্জন। ১৯৭১ সালে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দেওয়া স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করে শুনিয়েছিলেন তৎকালীন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ হান্নান। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র দেশের সমস্ত মুক্তিকামী মানুষকে প্রেরণা জুগিয়েছে। স্বাধীনতার পর দেশগঠনেও ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে বেতার। খুলনা কেন্দ্রও গত ৫০ বছর ধরে এর ব্যতিক্রম নয়।’
বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলাতেও বেতার অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে বলে উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী। বেতারের সেবাকে আরো এগিয়ে নিতে শিগগিরই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বেতার সম্প্রচার শুরু হবে জানান তিনি।
তথ্যসচিব খাজা মিয়া তাঁর বক্তৃতায় খুলনা কেন্দ্রসহ সমগ্র বেতারের সবাইকে সংস্থাটির সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানান।
বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক হোসনে আরা তালুকদার অনুষ্ঠানে সব সময়ে বিশেষ করে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় জনগণকে সঠিক বার্তা, তথ্য ও অনুষ্ঠান উপহার দিতে বেতারের চলমান কর্মপ্রবাহের বর্ণনা দেন।
খুলনাকেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক মো. বশির উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খুলনার সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুন অর রশীদ বেতারের উত্তোরত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।