শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১
তালতলী প্রতিনিধি (বরগুনা)।।
বরগুনায় অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করায় এক সাংবাদিককে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়েছে অভিযুক্তরা। এ বিষয়ে তালতলী থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছেন ওই সাংবাদিক।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক এম সাইফুল ইসলাম (২৭) তালতলীর ছোটবগী ইউনিয়নের গাবতলি এলাকার মতিয়ার রহমান মাষ্টারের ছেলে। তিনি একটি দৈনিক পত্রিকায় বরগুনা জেলা প্রতিনিধি ও বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য হিসেবে কর্মরত আছেন।
জানা যায়, গত বছরের জুলাইয়ে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বরগুনার তালতলী উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের পশ্চিম গাবতলী গ্রামে একটি চক্রের বিরুদ্ধে জোরপুর্বজ জমি দখলের অভিযোগ ওঠে। বিষয়টির সত্যতা পেলে ‘আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে রাতের আঁধারে ঘর নির্মাণের অভিযোগ’ শিরোনামে সংবাদ প্রচার করেন সাংবাদিক সাইফুল। এরপর থেকেই সাইফুল ও তার পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে অভিযুক্ত বারেক কাজী (৪৫), নাসির ফকির (৫০) ও তাদের সহযোগীরা।
এরপর গত ১২ ডিসেম্বর সকালে তালতলীর গাবতলী গ্রামে সংবাদ সংগ্রহের কাজে গেলে প্রকাশ্যে সাইফুলকে হত্যার হুমকি দেয় অভিযুক্তরা। এতে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে তালতলী থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন সাইফুল ইসলাম।
এবিষয়ে সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম বলেন, তালতলীর ছোটবগী মৌজার বি.এস ১০৭ খতিয়ানভুক্ত ১৯৪৩ নং দাগের পূর্ব পাশে জমি ক্রয়সূত্রে দুইজনই মালিক বলে দাবি করে । এই জমি নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে মামলা চলমান রয়েছে। মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় একই এলাকার মোঃ: আফরোজা রানী (৪০) স্বামী আজিজ খন্দকার, ভাড়াটে সন্ত্রাসী বারেক কাজী ও তাদের সহযোগীরা আদালতের ১৪৪ ধারার আদেশ উপেক্ষা করে জমি দখল করেন। আমি সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টির সত্যতা পেয়ে সংবার প্রচার করি। এরপর থেকেই অপরিচিত নাম্বার থেকে আমাকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। গত ডিসেম্বরের শেষের দিকে ভাড়াটে সন্ত্রাসী বারেক কাজী আফরোজা রানীর পরামর্শে আমাকে প্রাননাশের হুমকি দিয়েছে প্রকাশ্যে। আমি জীবনের নিরাপত্তার তালতলী থানায় জিডি করেছি।
এ বিষয়ে তালতলী মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন বলেন,একজন গণমাধ্যম কর্মী সংবাদ প্রচার করে সমাজ,রাষ্ট্র ও দেশের কল্যানের সার্থে।আর সেই সংবাদ প্রচার করে যদি তাকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি পেতে হয় এটা কোন ভাবেই মানা যায়না।এ বিষয়ে আমরা প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এবিষয়ে তালতলী থানার অফিসার্স ইনচার্জ কাজী সাখওয়াত হোসেন তপু বলেন, সাংবাদিক সাইফুল থানায় এসে জিডি করেছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব