শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ, ১৪৩১
মোঃ নূর উদ্দীন মুন্না, জবি।।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ তম ব্যাচের ইতিহাস বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী শেমল শিল এর বাবা ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছুদিন ধরে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই জীবন মরণ যুদ্ধে এখন অর্থের অভাবে তার পরিবার আর কোন চিকিৎসা করতে পারছে না।
মুঠোফোনে সার্বিক পরিস্থিতি জানতে চাইলে শেমল বলেন, আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ তম ব্যাচের ছাত্র। সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনির থানার নাটানা গ্রামে আমাদের বসবাস। পরিবারে সদস্য ৫ জন আমরা। মা, বাবা, ছোট ভাই, আমি ও ঠাকুরমা। পরিবারে তে মা, বাবার উপার্জন দিয়ে আমাদের ২ ভাইয়ের লেখা পড়া ও পরিবারের ভরনপোষণ ভাল ভাবে চলত। দিন আনা দিন খাওয়াতে কোন ও কষ্ট ছিল না। বাবার বসত ভিটে জমি ছাড়া আমাদের কোন ও জমি জায়গা নেই।
বাবা ২০২০ এর ২০ তারিখের পরে বাবার খুব জ্বর আসে। গ্রাম ডাক্তার দেখালে ঔষধ সেবনের পর কিছুক্ষন ভাল থাকে। ধীরে ধীরে জ্বরের মাত্রা বাড়তে থাকে। হঠাত খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেয়। ধীরে ধীরে বাবার স্বাস্হ্যের অবনতি ঘটতে থাকে। গ্রাম লোকজন দেখে বলে কাজের মানুষ এ কি হল। তারা একটা স্যালাইন দিতে বলে যাতে একটু সুস্হ হয়। স্যালাইন শেষ হওয়ার পর ওই দিন রাতে ৭ থেকে ৮ বার গলা দিয়ে প্রচুর রক্ত বের হয়। সাথে সাথে ওই রাতে ১২ টার দিকে সাতক্ষীরা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। তার পরের দিন বাবাকে পরীক্ষা করা হল মেডিকেল রিপোর্ট বলে বাবার ২ টা কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে যার জন্য প্রসাব ধরে রাখতে পারছে না। অতিরিক্ত সিগারেট খাওয়ার ফলে বুকের হাড়ে ক্ষত হয়েছে, ডায়োবেটিকস এর কথা বলে। বাবাকে যখন মেডিকেল থেকে রিলেজ করে দেয় তখন বাড়ি নিয়ে আসা হয়। তখন মেডিকেল ডাক্তার যে ঔষধ লিখে দিয়েছিল তা বাবা খেয়ে ভুল বকতে থাকে। বাবা তখন স্বাভাবিক মানুষের মত ছিল না। তার পর ঔষধ বন্ধ করে দেয়া হয়।যত দিন যায় তত নিস্তেজ হয়ে যায়। কেউ ডাকলে ও শোনে না। সারা দিন শুয়ে থাকে। বাবাকে তার পর সাতক্ষীরা সুশান্ত কুমার ঘোষ কে দেখানো হয়।
তিনি সিটি স্ক্যান ও যাবতীয় রিপোট করে বলে যে, বাবার ব্রেইনের ডান পাশে টিউমার দেখা দিয়েছে। বাবা মাথা ব্যাথা তে ছট ফট করে। সুশান্ত কুমার ঘোষ ডাক্তার ব্রেনের ডাক্তার না। তাই তিনি ভারতে সঠিক চিকিৎসার করানোর কথা বলে। অন্য দিকে ঢাকাতে ২ টা ডাক্তারের ঠিকানা দিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, ৩ লক্ষ টাকা লাগবে অন্যদিকে ভিসা, পার্সপোট ও অন্যান্য খরচ, আবার ভারতে যেতে গেলে করোনা টেস্ট, যাবতীয় খরচ যা আমাদের পক্ষে ম্যানেজ করতে পারছি না। পরিবারের সবাই তিন বেলা ঠিক মত খেতে পারছি না টাকার জন্য। কাজের মানুষগুলো ২ জন আজ বসে। এই লকডাউনের ভিতর বাবাকে নিয়ে বড় বিপাকে পড়ছি। ছোট ভাই এবার এইচ,এস,সি ক্যান্ডিডেট। সে লেখা পড়া বাদ দিয়ে কাজ করছে মাঝের কাটায়।
অন্যদিকে বাড়ির কাজ ও বাবার দেখাশেনা ও যাবতীয় কাজ করতে হচ্ছে। মায়ের হাটের সমস্যা তাতে মা বেশিক্ষণ কাজ করতে পারছে না। অন্যদিকে আমার ঠাকুরমা এর বয়স ৫৫+ সে ও খুব কষ্ট পাচ্ছে। এমন অবস্হায় আমার পরিবারটি সবাই না খেতে পেরে অন্যদিকে বাবাকে নিয়ে অনেক সমস্যার ভিতর। তাই সবাই নিজের বাবা মনে করে আমার বাবার পাশে এগিয়ে আসুন প্লিজ।এ কষ্ট কাউকে বোঝানো যায় না। প্রতিটা দিন যাচ্ছে আমাদের কাদতে কাদতে। যে যত টুকু পারেন আমার বাবার সু-চিকিৎসার জন্য আর্থিক ভাবে এগিয়ে আসুন প্লিজ। এতে আমার বাবা ও পরিবারের ৫ জন বেঁচে যাবে।যদি কারো মনে নাড়া দেয় আপনাদের দেয়া কিছু সাহায্য আমাদের পরিবারকে কিছুটা স্বচ্ছল করতে পারে।
সাহায্যের ঠিকানা…
বিকাশ পার্সোনাল : ০১৭৩৪৫৭৩৯০৭