রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ, ১৪৩১
স্পোর্টস ডেস্ক।।
উয়েফা নেশনস লিগের ম্যাচে মাঠে নামার আগে প্রস্তুতিটা দুর্দান্ত হলো পর্তুগাল ফুটবল দলের। প্রতিপক্ষ তুলনামূলক সহজ হলেও, ৭-০ গোলের জয় যেকোনো দলের জন্যই বাড়তি সাহস ও অনুপ্রেরণা জোগায়। তেমনই এক জয় পেয়েছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর দল।
শনিবার রাতে নেশনস লিগের প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে কঠিন প্রতিপক্ষ ফ্রান্সকে স্বাগত জানাবে পর্তুগাল। তার আগে হওয়া ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে অ্যান্ডোরার বিপক্ষে ৭-০ গোলের বড় জয় পেয়েছে নেশনস লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
নিজেদের ঘরের মাঠে হওয়া ম্যাচটিতে আক্ষরিক অর্থেই অ্যান্ডোরাকে নিয়ে ছেলেখেলা করেছে পর্তুগাল। পুরো ম্যাচে একবারও আক্রমণে উঠতে পারেনি অ্যান্ডোরা, লক্ষ্য বরাবর শটের তো প্রশ্নই আসে না। এমনকি ৯০ মিনিটে তারা সবমিলিয়ে পাসই দিতে পেরেছে মাত্র ১২৭টি।
প্রতিপক্ষের এমন অসহায় অবস্থা হওয়ার পেছনে বড় কারণ পর্তুগালের দাপুটে ফুটবল। ম্যাচের ৯০ মিনিটে অন্তত ২৫ বার তারা হানা দিয়েছে অ্যান্ডোরার রক্ষণে, গোল বরাবর শট নিয়েছে ২৫ বার। যেখানে সফলতা মিলেছে ৬টিতে আর অন্যটি হয়েছে আত্মঘাতী গোল।
ম্যাচের মাত্র ৮ মিনিটের সময় দলকে এগিয়ে দেন পেদ্রো নেতো, এসিস্ট ছিল সার্জিও অলিভেইরার। দ্বিতীয় গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয় ২৯ মিনিট পর্যন্ত। নেলসন সেমেদুর এসিস্টে জাল কাঁপান পাওলিনহো। প্রথমার্ধে আর গোল পায়নি পর্তুগাল, ২-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় তারা।
দ্বিতীয়ার্ধে নামার আগে নিজেদের একাদশে বেশ কিছু পরিবর্তন আনেন পর্তুগাল কোচ। অলিভেইরার বদলে নামানো হয় বার্নার্দো সিলভাকে, পেদ্রো নেতোর বদলে আসেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। একটি পরিবর্তন আসে অ্যান্ডোরা দলেও।
মাঠে নেমে নিজের ছাপ রাখতে মাত্র ১১ মিনিট সময় নেন রোনালদো। তার এসিস্টে ম্যাচের তৃতীয় গোলটি করেন রেনাতো সানচেজ। মিনিট পাঁচেক পর নিজের দ্বিতীয় ও ম্যাচের চতুর্থ গোল করেন পাওলিনহো।
ইতোমধ্যে ৪ গোলে পিছিয়ে যাওয়া অ্যান্ডোরার দুঃখ-দুর্দশা আরও বেড়ে যায় ৭৬ মিনিটে। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই ঢুকিয়ে দেন এমিলি গার্সিয়া। শেষের দশ মিনিটে আরও দুই গোল করে পর্তুগাল। স্কোরশিটে নাম তোলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও হোয়াও ফেলিক্স।
ফ্রেন্ডলি ম্যাচে আত্মবিশ্বাস উঁচুতে নেয়া পর্তুগাল প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলবে শনিবার, প্রতিপক্ষ ফ্রান্স। নেশনস লিগে এখনও পর্যন্ত ৪ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষেই রয়েছে পর্তুগাল। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট রয়েছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সেরও।