শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ, ১৪৩১
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।।
সুনামগঞ্জের ছাতকে তোফায়েল আহমদের (১৪) মৃত্যু নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে রহস্যের জাল। এটি আত্মহত্যা না পরিকল্পিত হত্যা এ নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত (২২ মার্চ) উপজেলার ছৈলা-আফজালাবাদ ইউনিয়নের লাকেশ্বর (মাজপাড়া) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রাত আড়াইটার দিকে তোফায়েল আহমদের লাশ তার চাচা নুর আলীর বাড়ীতে একটি গাছের ডালে ঝুলছিল দেখেন নিজেই নুর আলী। খবর পেয়ে ছুটে আসেন গ্রামবাসী। পরে তোফায়েল আহমদ এর লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করে থানা পুলিশ। তোফায়েল আহমদ লাকেশ্বর (মাজপাড়া) গ্রামের প্রবাসী ফজর আলী ছেলে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, তোফায়েল আহমদের এর পিতা ফজর আলী দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ প্রবাসে রয়েছেন। এই সুবাদে তার চাচা নুর আলীর সাথে তার মা আলাইয়া বেগমের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। অপরদিকে নুর আলীর ছোট বোন রীনা বেগম (১৯) ফুফুর সাথে তোফায়েল আহমদ এর অবৈধ সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিন রাত ১২টা পর্যন্ত নুর আলীর বাড়ীতেই ছিল তোফায়েল আহমদ। এর পর সে তার বাড়ীতে চলে আসে। এ সময় তার মা আলাইয়া বেগমের সাথে তোফায়েল আহমদের কথা কাটাকটি হয়।
এ বিষয়ে কথাকাটির বিষয়টি অস্বীকার করে আলাইয়া বেগম বলেন, সে ঘরে আসার পর আমরা ঘুমিয়ে যাই। রাত ২টার দিকে সেহরি খাওয়ার জন্য তাকে ডাক দেই। এ সময় সে চাচার বাড়ীতে যাচ্ছে বলে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। তিনি আরো বলেন আড়াইটার দিকে জানতে পারি সে ফাঁস লেগেছে। তবে এটি আত্মহত্যা না পরিকল্পিত হত্যা পোষ্টমর্টেম রিপোর্ট পাওয়ার পর মামলা দায়ের করবেন বলে জানান আলাইয়া বেগম। এ সময় তিনি বলেন কিছু গোপন কথা পরে জানাবো। পরবর্তীতে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি রিসিব করেননি।
এ বিষয়ে তোফায়েল আহমদের সহপাঠি রাসেল ও আশরাফ জানান, ঘটনার দিন রাত ১২টা পর্যন্ত আমরা এক সাথে ছিলাম। পরে জানতে পারি গাছের ডালে তার লাশ ঝুলছিল। এ বিষয়ে তোফায়েল আহমদের চাচা মনফর আলী ও হীরন মিয়া বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড হতে পারে। এ বিষয়ে পরকীয়া সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন নুর আলী।
এ বিষয়ে ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা তবে পোষ্টমর্টেম রিপোর্ট পাওয়ার পর সত্যটা জানা যাবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।