শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
স্পোর্টস ডেস্ক।।
দু’বছর আগের ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছিল এবারের চেয়ে আরও ভাল দল। সেই দলকে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে তুলোধুনো করলেও এবার ব্র্যাথওয়েটের তুলনামূলক কমজোরি, দূর্বল ও অনভিজ্ঞ দলের সাথে প্রথম টেস্ট হেরে বসে আছে মুমিনুল হকের বাংলাদেশ।
এখন টাইগারদের সামনে কেবল একটি পথই খোলা আছে। তাহলো, জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পরাজয়ের ধাক্কা সামলে শেরে বাংলায় দ্বিতীয় টেস্ট জেতা এবং সিরিজে সমতা ফিরিয়ে আনা।
ওয়ানডের মত ‘বাংলাওয়াশ’ বহুদুরে, টেস্ট সিরিজ জেতারও কোনোই সুযোগ নেই টাইগারদের। বরং আছে উল্টো হোয়াইটওয়াশের শঙ্কা। ঢাকায় হারলেই ২০১৮ সালের উল্টো ঘটনা ঘটবে এবার।
কাল ১১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া সেই টেস্ট তাই মুমিনুল, তামিম, মুশফিক, লিটন, মিরাজ ও মোস্তাফিজদের সিরিজ ও হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচ। ‘এক ঢিলে দুই পাখি শিকারের’- মত এ টেস্ট জয়ে সিরিজ পরাজয় আর হোয়াইটওয়াশ রোধ দুই’ই সম্ভব।
কাজেই টিম বাংলাদেশের সামনে কঠিন পরীক্ষা। এখন টাইগাররা কিভাবে সে পরীক্ষা মোকাবিলা করে সেটাই দেখার। অধিনায়ক মুমিনুল হক কী চিন্তিত? তিনি কি বাড়তি চাপে আছেন? টেস্টের আগে সে প্রশ্নই উচ্চারিত হচ্ছে বেশি।
এ সম্পর্কে মুমিনুলের ব্যাখ্যা, ‘দেখেন যে কথায় আছে অতীত যেটা চলে গেছে ওটা নিয়ে চিন্তা না করাই ভালো। ওখান থেকে যেগুলো ইতিবাচক জিনিস আছে সেগুলো নিয়ে সামনে এগোতে চাই। সে হিসেবে আল্লাহর রহমতে সবাই ইতিবাচক আছে। ইনশাআল্লাহ কালকে আমরা ইতিবাচক ফলাফল করতে চাই।’
চাপ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে মুমিনুল স্বীকার করেন আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে চাপ থাকে। ‘আপনি যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলবেন তখন যেখানেই সফর করেন না কেন, যত বড় দলই হোক না কেন, ছোট দলই হোক যখনই খেলবেন ম্যাচ হারলে বা দল যখন ফলাফল করবে না- তখন এমনিতেই চাপ থাকবে। ওই হিসেবে তো চাপ আছেই। আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট যখন খেলবেন তখন তো চাপ থাকবেই। ওইটা নিয়ে কাজ করতে হবে এবং সেটা নিয়েই খেলতে হবে। দেখেন এটা হয়তো কালকে বুঝতে পারব, এখনও বোঝা যাচ্ছে না। হয়তো আপনার এই প্রশ্নের উত্তরটা কাল থেকে পরের ৪-৫ দিন পাওয়া যাবে।’