শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র, ১৪৩০
অনলাইন ডেস্ক।।
সিরাজগঞ্জে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ডাকা সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ-বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় আরেকটি অভিযোগ জমা পড়েছে থানায়। যুবলীগের অস্ত্রধারী রিজভী, সুমন, বায়োজিদ, জনি ও সাগর ওরফে পাঙ্গাস সুমনসহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ-ছাত্রলীগের ১৮৩ নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে রোববার (০২ জানুয়ারি) রাতে সদর থানার অভিযোগটি জমা দিয়েছেন সিরাজগঞ্জ জেলা শহরের কালিবাড়ি মহল্লার বিএনপির কর্মী হেলাল উদ্দিন।
দ্বিতীয় অভিযোগেও শহর আওয়ামীলীগ সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক দানিউল হক মোল্লা, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুলক হক, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আহসান হাবিব খোকা, সাধারণ সম্পাদক প্রকৌ.আবদুল্লাহ বিন আহম্মেদ,কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহম্মেদ মুন্না, চৌরাস্তা মোড়ের বিশ্বনাথ কানুর দু’পুত্র সন্তোষকানু, রবি কানুকে অভিযুক্ত করা হয়।
তবে রোববার রাতে অভিযোগটি থানায় জমা দিলেও মামলা আকারে তা এখনও রেকর্ড করা হয়নি বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে সদর ওসি নজরুল ইসলাম সোমবার দুপুরে বলেন,‘অস্ত্রধারীদেরও যেমন খুঁজছে পুলিশ, তেমনি রেকর্ডের আগে বিএনপির দেওয়া অভিযোগটিও প্রাথমিক তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’
এদিকে, আদালতে জমা দেয়া বিএনপির প্রথম অভিযোগটি রোববার রাতে আমলে নিয়েছেন অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের বিচারক মোহাম্মদ বিল্লাল হোসাইন। মামলাটি যথাযথ তদন্তসহ আগামী ২৮ মার্চের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে তিনি পিবিআই পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। ওই আদালতের পেশকার মো. শহিদুল ইসলাম সোমবার (০৩ জানুয়ারি) বিষয়টি জানান।
অন্যদিকে, সোমবার ভোররাতে শহর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিরপুর মহল্লার রুবেল শেখকে গ্রেপ্তার করে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। বিএনপির পর পর দু’টি অভিযোগে জ্ঞাত-অজ্ঞাত মিলে আ.লীগ,যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৩৬৬ জন অভিযুক্ত হয়েছেন। এদিকে, একই সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় ১২ শতাধিক বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীকে আসামি করে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে থানায় আরও ৬টি মামলা হয়েছে। এ পর্যন্ত বিএনপির ৪ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন।
প্রসঙ্গত: খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গত বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জ সরকারি ইসলামিয়া কলেজ মাঠে সমাবেশ চলাকালে অদুরে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সংলগ্ন টুকুব্রীজের ওপর আওয়ামীলীগ,যুবলীগ-ছাত্রলীগের সাথে বিএনপি-যুবদল ও ছাত্রদলের কর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে ব্রীজের পশ্চিমপাড়ে যুবলীগ কর্মীদের সাথে ক’জন অস্ত্রধারীদের দেখা গেলেও তাদের এখনও খুঁজে পায়নি পুলিশ।