সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
অনৈতিক ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর ড. মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসির পরিচালকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আবদুল লতিফ শুক্রবার (৩ জুলাই) দুপুরে স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানান।
গঠিত তদন্ত কমিটিতে আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর হালিমা খাতুনকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রফেসর সাইফুল ইসলাম এবং দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. শেলিনা নাসরিন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ কণ্ঠ আমার না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কুচক্রীমহল আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এ কাজটি করেছে। আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এদিকে তার বিরুদ্ধে জারি করা অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ড. মিজান ও এক নারী শিক্ষার্থীর মধ্যে কথোপকথনের একাধিক অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে তা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়। তাদের মধ্যে অডিওতে যেভাবে অশ্লীল ও আপত্তিকর কথাবার্তা হয়েছে তা শিক্ষক হিসেবে নৈতিকস্খলনের (Moral Turpitude) সামিল। যাতে শিক্ষক সমাজসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যকার সম্পর্কের পবিত্রতা ক্ষুণ্ণ হয়েছে।
এমন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে প্রফেসর ড. মিজানুর রহমানকে টিএসসিসির পরিচালকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হল। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধিমোতাবেক তাকে কেন চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা চিঠি পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রার বরাবর কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান ও এক নারী শিক্ষার্থীর অনৈতিক ফোনালাপের দুটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অডিও ক্লিপের পুরুষ কণ্ঠটি ড. মিজানের বলে দাবি প্রশাসনের।