শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
করোনার প্রাদুর্ভাব বিশ্বব্যাপ বেড়েই চলেছে। এর থেকে বাঁচার পথের দিশা এখনো মেলেনি! ভাগ্য গুণে যাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো তারাই করোনাকে জয় করছেন।
তবে যারা বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদী রোগে আগে থেকে কাবু তাদের ক্ষেত্রেই দেখা দিচ্ছে বিপদ। বিশেষ করে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস বা অ্যাজমা রোগীদের জন্য করোনায় মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে। যেহেতু করোনা ফুসফুসে গিয়ে আঘাত হানে তাই শ্বাসকষ্ট দ্বিগুণ আকারে বেড়ে যেতে পারে! এ কারণে এই সময় অ্যাজমায় ভোগা রোগীদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
অ্যাজমায় ভোগা বেশিরভাগ মানুষেরই ভরসা ইনহেলারে। এর পাশাপাশি নির্ধারিত ওষুধ নিয়মিত খেলেও অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা সংক্রমণকালেও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যাজমা রোগীদের নিয়মিত ওষুধ চালিয়ে যেতে হবে। এছাড়া নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে কিছু বিষয় অনুসরণ করতে হবে। যেমন-
১. কমপক্ষে দুই বা তিন মিটার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
২. বাইরে বেশি বের না হওয়ার চেষ্ট করবেন।বেন না।
৩. নিয়মিত হাত ধোয়ার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।
৪. ঘর-বাড়ি নিয়মিত জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করুন।
৫. শারীরিক বিভিন্ন সমস্যায় দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এসব ছাড়াও এ সময় অ্যাজমা রোগীর নিজেকে সুস্থ রাখতে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যেমন-
১. ইনহেলার সর্বদা সঙ্গে রাখুন। কারণ যে কোনো সময় এটি আপনার প্রয়োজন হতে পারে।
২. আপনার অ্যাজমার ধরন বুঝে সতর্ক থাকুন। যেমন- কারো ঠাণ্ডায় আজমা বাড়ে, আবার কারো ধূলা-বালিতে সমস্যা হয়। অনেকে আবার খাবার ও পানীয়সহ গন্ধেও আক্রান্ত হন। যেসবে আপনার সমস্যা বাড়ে সেগুলো এড়িয়ে চলুন।
৩. যদি কখনো বুকে ব্যথা এবং শ্বাস নিতে সমস্যা হয় তবে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। কারণ এই একই রকম উপসর্গ দেখা দেয় করোনা রোগীদের ক্ষেত্রেও।