শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ, ১৪৩১
এইচ,এম, হুমায়ুন কবির, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)।।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় ভ্যাপসা গরমে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। গত এক সপ্তাহে ১০৭ জন মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। গড়ে প্রতিদিন রোজ ২৩ জন ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন নতুন রোগী ভার্তি হচ্ছেন। আবার অনেকে বহিঃবিভাগ থেকে অনেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে অধিকাংশ শিশু ও বৃদ্ধ। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্যালাইন সংকট দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন বাজারের ফার্মেসিগুলোতে স্যালাইন সংকট রয়েছে।
কোম্পানীর কাছে অর্ডার করে পাওয়া যাচ্ছে না বলে ওষুধ ব্যবসায়ীরা জানান। সবচেয়ে বেশি বেকায়দা রয়েছে শ্রমজীবি মানুষ ও শিশু এবং বয়স্করা। বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকাতে তাপ মাত্রা বেড়ে চলায় এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। কলাপাড়া এ বছরের শুক্রবার সর্ব্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি আর সর্ব নিম্ন তাপ মাত্র ২৪.৯ ডিগ্র সেলসিয়াস। কুয়াকাটা তুলাতলী হাসপাতাল. কলাপাড়া হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসাপাতালের খবর নিয়ে জানা গেছে, প্রচন্ড গরমে শিশু এবং বয়স্করা নানান ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। শিশুরা ,জ্বর, সর্দি, গলা ব্যাথা, নিউমোনিয়া,পাতলা পায়খানা,আমাশয়ে আক্রান্ত হচ্ছে পানি শুন্যতার কারনে। এ কারনে চিকিৎসকরা প্রচন্ড তাপদাহে শরীরের জন্য আলাদা যত্ন নিতে হবে। গরমের স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে শুধু শিশু নয়, সবাইকে বেশি বেশি পানি কেতে হবে। বিশেষ করে লেবুর শরবত ডাবের পানি,স্যালাইন খেতে হবে। তাহলে শরীরের পানি শুন্যতা হলেও তা পুরন হবে। এতে রোগ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কম থাকবে। সাধারনত বাংলাদেশ এপ্রিল ও মে মাসে উষঞতম মাস হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। এ দু’মাসে মাঝা মাঝি সময় অথ্যাৎ মধ্যে এপ্রিল থেকে মধ্যে মে মাস সাধারনত ঝড়বৃষ্টির সম্বাবনা থাকে, তবে এবার এপ্রিলে মাসেও বৃষ্টি পাত হচ্ছে না।
ডায়রিয়ার মহিলা ওয়ার্ডে রোগী পারভীন বেগম বাড়ী আমতলী উপজেলার দোপখালী গ্রামে তিনি জানান, গত দু’ই দিন ধরে প্রচন্ড বমি কোনো কমে না এজন্য হাসপাতালে এসে ভর্তি হলাম। এখনও পর্যন্ত বমি বন্ধ হচ্ছে না। ডায়রিয়ার পুরুষওয়ার্ডে রোগী জয়নাল মিয়া বাড়ী ধানখালী লোন্দা গ্রামে তিনি বলেন, হাসপাতালে ভর্তি হলাম তারা সেলাইন দেয় তাতে আমার কিছুই হয় না বাহিরের ফার্মেসিগুলোতে স্যালাইন কিনতে হচ্ছে। আর কোনো বেড না পাওয়া ফ্লরো বিছানা বিছিয়ে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নার্স সায়েমা আক্তার তুলি জানান, উপজেলা হাসপাতালে কলাপাড়া পার্শ্ববর্তী রাঙ্গাবালী এবং আমতলী ও তালতালী উপজেলার কিছু সংখ্যক রোগী এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছে। এ কারনে রোগীর চাপ বেশি রয়েছে। রোজ গড়ে ২৩জন ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে ১০৭ জন রোগী ভর্তি হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা আবহাওয়া অফিস চলতি দায়িত্ব মো.আ. হালিম মিয়ার্ জানান, এখন বর্তমানে তাপ মাত্রা অনেক বেশি। তবে এক সপ্তাহের মধ্যে বৃষ্টিপাতের কোন সম্ভাবনা নাই। এ বছরের শুক্রবার সর্ব্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. চিন্ম হাওলাদার জানান, কিছু এলাকায় এখনো বিশুদ্ধ পানির অভাব রয়েছে। ফলে ডায়রিয়ার প্রার্দুভাব অনেকটা বেশি। এছাড়া করোনার কারনেও ডায়রিয়া সিমটম হিসেবে দেখা দিতে পারে।