শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র, ১৪৩০
কাঠালিয়া (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি।।
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় মেসার্স ত্বহা ব্রিকস ফিল্ডে কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো, লাইসেন্স না থাকাসহ নানা অনিয়মের অজুহাত তুলে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সুমিত সাহা ভ্রাম্যমান আদালতের ভয়ভীতি দেখিয়ে ভাটার মালিক (পার্টনার) মোঃ শাহিন আকনের কাছ থেকে চার লক্ষ টাকা নিয়ে দুই লক্ষ টাকার রশিদ প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। মামলা নম্বর ০৫/২০২১, যার ক্রমিক নং ৪৮০৮২৩, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমিত সাহা’র স্বাক্ষরিত একটি রশিদ সোমবার দুপুরে প্রদান করা হয় শাহিন আকনকে।
শাহিন আকন জানান, “প্রথমে আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। পরবর্তীতে ৪ লক্ষ টাকা বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে ধার-দেনা করে উপজেলা ভূমি অফিসে গিয়ে পৌছে দিয়েছি। রশিদ দেয়ার সময় দুই লক্ষ টাকার রশিদ দিয়েছেন। চার লক্ষ টাকা দিয়ে দুই লক্ষ টাকার রশিদ দেয়ার বিষয়টি সহকারী কমিশনার সুমিত সাহা ও তার অফিসের নাজির মোঃ মাইনুল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তারা আমাকে ধমকিয়ে পাঠিয়েদেন”। বিষয়টি ব্যাপক জানা-জানি হলে মঙ্গলবার টাকা ফেরৎ দেয়ার জন্য বারবার আমাকে মোবাইল করছেন।
ভাটার মালিক মোঃ এনামুল হক জানান, ঘুষের টাকা ফেরৎ দেয়ার জন্যে সহকারী কমিশনার ভূমি সুমিত সাহা’র নাজির মাইনুল আমার পার্টনার শাহিনকে অফিসে এবং বাড়িতে খুজে বেড়াচ্ছেন। তিনি আরো জানান, ব্যবসায়ী কাজে আমি ঢাকা থাকায় পার্টনার মোঃ শাহিনের কাছে ৪ লক্ষ টাকা নেয়ার বিষয়টি জেনে প্রতিবাদ করেছি।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমিত সাহা ৪ লক্ষ টাকা নেয়ার কথাটি অস্বীকার করে তিনি জানান অন্য কেউ টাকা নিয়েছে কিনা আমার জানা নেই, আমি ২ দুই লক্ষ টাকা জরিমানা করেছি। তবে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন জেলা প্রশাসক স্যার আমার কাছে বিষয়টি জানতে চেয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুফল চন্দ্র গোলদার জানান, মেসার্স ত্বহা ব্রিকস ফিল্ডে একটি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। সেখানে দুই লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এর বাহিরে অন্য কিছু আমার জানা নেই।
সোমবার দুপুরে বড় কাঠালিয়ায় অবস্থিত মেসার্স ত্বহা ব্রিকস ফিল্ড ইট ভাটায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সুমিত সাহা ভ্রম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো, লাইসেন্স না থাকাসহ নানা অনিয়মের কারনে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন ( নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ এর ১৬ ধারায় অর্থদন্ডও প্রদান করেন।